৬০২ নাম্বার পেয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন ৮ নম্বর বটুন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দাশুল উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী তথা মাদারগঞ্জ গ্রামের সুদীপা মুর্মু।

দঃ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- চরম অসহায় এবং দরিদ্র পরিবারের এক আদিবাসী সম্প্রদায়ের ছাত্রী সম্ভবত দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার জেলার মধ্যে আদিবাসী ছাত্রীদের মধ্যে এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষায় ৬০২ নাম্বার পেয়ে তাক লাগিয়ে দিলেন ৮ নম্বর বটুন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার দাশুল উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রী তথা মাদারগঞ্জ গ্রামের সুদীপা মুর্মু। তাহার সর্বমোট প্রাপ্ত নম্বর 602 । ৮৬ শতাংশ নম্বর পেয়ে এই বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দাবি এই আদিবাসী ছাত্রী জেলায় আদিবাসীদের মধ্যে সুদিপা মুর্মু প্রথম স্থান অধিকার করেছে। আগামী দিনে চিকিৎসক হওয়ার ইচ্ছে রয়েছে হতদরিদ্র এই পরিবারের ছাত্রী সুদিপার। তবে এই ইচ্ছেপূরণ হবে কিনা সেই দুশ্চিন্তায় চোখের জল মুছতে মুছতে তিনি জানান আগামী দিনে তার ইচ্ছে রয়েছে চিকিৎসক হওয়ার । তবে এই হত পরিবারের সংসারের মধ্যে সেই ইচ্ছে পূরণ হবে কিনা তার দুশ্চিন্তায় পড়েছে সুদীপা। তবে প্রশাসন পাশে থাকলে তাহার পড়াশোনা তিনি চালিয়ে যাবেন বলে এমনটাই জানিয়েছে।মাটির বাড়ির মধ্যেই বসবাস বিশেষত বর্ষাকালে চরম কষ্টের মধ্যে রাত্রি এবং দিন যাপন করতে হয় বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। সুদিপার মা দিপালী বাস্কে জানিয়েছেন যে ছোটবেলা থেকেই মেয়ে পড়াশোনায় ভাল ছিল। তাহাকে পড়াশোনার কথা বলতে হতো না। নিজের ইচ্ছায় সে পড়াশোনা শুরু করে দিত সময়মতো। পড়াশোনার পাশাপাশি খেলাধুলাও ভালো লাগে তাহাকে। দিন আনা দিন খাওয়া এই পরিবারে বাড়ির কর্তা তথা সুদিপার বাবা সুধির মুরমু জানিয়েছেন যে আগামী দিনে মেয়ের স্বপ্ন পূরণ হবে কিনা জানিনা। কারণ চিকিৎসক হতে গেলে অনেক অর্থের প্রয়োজন সেই জায়গায় কতটা কতটা মেয়ের স্বপ্ন পূরণ করতে পারব বুঝে উঠতে পারছি না। তবে প্রশাসন সহযোগিতা করলে নিশ্চয়ই সুদীপা তার লক্ষ্যে পৌঁছতে পারবে বলে পরিবারের। দাশুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নিমাই সরকার জানিয়েছেন যে ছোট থেকেই পড়াশোনায় ভালো ছিল সুদীপা মর্ম। পড়াশোনা সে চরম এবং উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে শিক্ষক শিক্ষিকাদের সহযোগিতায় আজ দাশুল উচ্চ বিদ্যালয় এর মধ্যে ৬০২ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছে এই আদিবাসী ছাত্রী। তবে আগামী দিনেও এই ছাত্রীর প্রতি বিদ্যালয়ের সকলশিক্ষক-শিক্ষিকাদের সহযোগিতার হাত নজর থাকবে বলে এমনটা জানিয়েছেন তিনি। দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের সভাপতি সন্তোষ হাসদা জানিয়েছেন যে খুবই আনন্দের বিষয়। সুদিপার ইচ্ছা পূরণে প্রশাসনের সঙ্গে কতটা সহযোগিতা করা যায় এ বিষয়ে তিনি জেলা প্রশাসনের সাথে কথা বলবেন বলে জানিয়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *