সাংবাদিক আবদুল হাই এর মানবিক উদ্যগ।

বাঁকুড়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  আর কয়েক ঘণ্টার পর তারপরই শুরু হয়ে যাবে দীপাবলি উৎসব।আর এই পুজোকে ঘিরে বাঙ্গালীদের মধ্যে একটা নতুন মাত্রা যোগ হয়।এখনো আমাদের দেশে হাজার হাজার অসহায় গরীব মানুষ আছেন যে কোন উৎসবে আর পাঁচটা পরিবারের মতো নতুন জামা কাপড় পড়ে আনন্দ করতে পারে না। তবুও বাবা মায়েরা নিজেদের সখ আল্লাদ না করে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে নিজেদের সখ আল্লাদ বিসর্জন দিয়ে বাড়ির কচিকাঁচাদের নতুন বস্ত্র কিনে দেয় যাতে ছোট্ট ছোট্ট বাচ্চারা আর পাঁচটা ছেলে মেয়েদের মতো পুজোয় আনন্দ করতে পারে। সাংবাদিক আবদুল হাই দীপাবলির দশ দিন আগে চিন্তা করে যে এই সব অসহায় গরীব পরিবারের মায়েরা নিজেদের নতুন কাপড় না কিনে সারাজীবন ছেলে মেয়েদের কথা ভেবেই গেল। সেইসব অসহায় গরীব পরিবারের মায়েদের দীপাবলিতে নতুন বস্ত্র তুলে দেওয়া হবে। যাতে মায়েরা একটু আনন্দ করতে পারে। আবদুল হাই কিছু কিছু শিক্ষক, ব্যবসায়ী এবং কন্যাশ্রী প্রাপ্ত ছাত্রীদের কাছে ঐ অসহায় গরীব পরিবারের মায়েদের কথা বলে। সাংবাদিক আবদুল হাই এর আবেদনে সাড়া দেয় বাঁকুড়া জেলার সোনামুখী শহরে সোনামুখী বি জে হাইস্কুলের দুই শিক্ষক দেবব্রত হাটী,কৌশিক বিশ্বাস, ইন্দাসের গোবিন্দপুর বাজারের দুই ব্যবসায়ী রিপন টেলিকম, বিউটি পার্লার দোলন সাহা, কুশমুড়ি গ্ৰামের এক সবজি বিক্রেতা এবং কন্যাশ্রী প্রাপ্ত ছাত্রীরা। বর্তমান স্বার্থ মগ্নযুগে কেউ অপরের দুর্দশার কথা ভাবতেই চাই না। তবুও পৃথিবীতে এখনো কিছু মানুষ আছেন বলেই পৃথিবীটা আজও সুন্দর। বাড়িয়ে দাও তোমার হাত, সর্বদা থেকো মানুষের সাথ। মানুষ বড় একলা, তুমি তার পাশে এসে দাঁড়াও