বাংলায় জঙ্গি ধরা পড়া থেকে অনুপ্রবেশ নিয়ে এবার খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকেই দেশদ্রোহী হিসেবে আক্রমন করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্তী তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

নিজস্ব সংবাদদাতা, দঃ দিনাজপুরঃ-বালুরঘাট : – আজ দক্ষিন দিনাজপুর জেলায় অটোল বিহারি বাজপেয়ীর জন্মদিন উপলক্ষে বালুরঘাটে রক্তদান শিবিরে বিজেপির বালুরঘাট সাংসদ সুকান্ত মজুমদার সাংবাদিক দের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে বলেন, বাংলায় জঙ্গি ধরা পড়া থেকে অনুপ্রবেশ নিয়ে এবার খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জীকেই দেশদ্রোহী হিসেবে আক্রমন করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষা দফতরের প্রতিমন্তী তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আজ বালুরঘাটে রাজ্যে জংগী গ্রেফতার ও অনুপ্রবেশ নিয়ে করা সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে সুকান্ত মজুমদার এভাবেই সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে আক্রমন করেন।পাশাপাশি গোটা বিষয়টিতে মুখ্যমন্ত্রীকে দায়ি করে তার আরও দাবি এই রাজ্য সরকার অনুপ্রবেশ ঠেকাতে সীমান্তে কাটাতারের বেড়া দেওয়ার জন্য জমি দিচ্ছেন না।কেননা এসব সীমান্ত দিয়ে অবাধে গরু পাচারের ও অনুপ্রবেশকারীদের এপিক সেন্টারে পরিনত করেছে।তার আরও অভিযোগ এসবের মদত দাতা সব তৃনমুলের লোকজন।সেই সব কাটমানির ভাগ পায়।তিনি আরও বলেন আমাদের মুখ্যমন্ত্রীর দু কান কাটা, অনুপ্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে তিনি কোন পুলিশি পদক্ষেপ গ্রহন করেন না বললেই এস টি এফ বা অন্য রাজ্যের পুলিশ এসে জংগী ও অনুপ্রবেশকারীদের পাকড়াও করে নিয়ে যাচ্ছে।এটা বাংলার কাছে লজ্জারও।তিনি আরও অভিযোগ জানিয়ে এ প্রসংগে মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি আক্রমন শানিয়ে বলেন উনি নিজে একজন ভারতীয় হয়ে দেশের সুরক্ষা ব্যবস্থ্যাকে এসব করে ভংগুর করে তুলছেন।এরপরেই তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে সরাসরি দেশদ্রোহী বলে আখ্যা দেন।

এওর পাশাপাশি অনুপ্রবেশ নিয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ পশ্চিমবংগ ও সারাদেশে এই বাংলাদেশ থেকে অনুপ্রবেশের মধ্যমে একটা জনবিন্যাসের চেষ্টা চালানো হচ্ছে, যাতে হিন্দুদের সংখ্যা কমে যায় দেশে।তিনি সরাসরি এর পেছনে তৃনমুলকে দায়ি করে বলেন আপনারা দেখছেন এই অনুপ্রবেশকারীরা এই তৃনমুলের নেতা নেত্রীদের ধরে দশ হাজার বিশ হাজার টাকা খরচ করে জাল আধার কার্ড বা পরিচয় পত্র জোগাড় করছে।তার আরও অভিযোগ এভাবেই অনুপ্রবেশের মধ্যমে দেশের জনবিন্যাসকে বাড়িয়ে ইসলামিক দেশে পরিনত করার একটা চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তাই এখন থেকে সাবধানতা না দেখালে পরে ভারতবাসিকে পস্তাতে হবে। তাই এর বিরুদ্ধে সবাইকে কোমর বেধে লড়াই করার আহ্ববান জানান তিনি।

কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুপ্রবেশ নিয়ে আরও একটি প্রসংগ টানেন। তিনি বলেন আমি অনুপ্রবেশকে দুই ভাবে দ্রখে থাকি।ওপার বাংলা থেকে যে সব হিন্দুরা অত্যাচারিত হয়ে এদেশে চলে আসছে। তাদের অনুপ্রবেশকারি না বলে আমরা তাদের শরনার্থী হিসেবেই দেখে থাকি। আর যে সব মুসলিম আসে তাদের আমরা অনুপ্রবেশকারী হিসেবেই দেখতে চাই।এরপরেই তিনি দেশের জনবিন্যাসের প্রসংগ টেনে আনেন।

এছাড়া সাংবাদিকদের সংগে কথা প্রসংগে সুকান্ত কে আর জি করের অভয়ার ওকারেন্স ওফ প্লেস নিয়ে সি বি আই জমা দেওয়া ফরেন্সিক রিপোর্ট নিয়ে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন মুখ্যমন্ত্রীর প্রশয়ে ও দোষীদের আড়াল করতে যে ভাবে লুংগী বাহিনী আদালতে সি বি আই নির্দেশের দিন রাত্রে আর জি করে তান্ডব চালিয়ে ছিল।তারপর প্রমান বলে আর কিছু বাকি থাকেনা। তিনি এও বলেন সে দিন ওই জায়গা যারা দেখেছে তাদের কাছ থেকে যা শোনা গেছে । পাশাপাশি ভাইরাল ভিডিওতে যা দেখা গেছে তাতে তিনি নিসন্দেহ অভয়াকে মৃত অবস্থ্যায় সেখানে অন্যত্র থেকে নিয়ে এসে রাখা হয়েছিল।

রেশন দুর্নীতি কান্ডে ইডির হাতে তিন চালকল মালিকের গ্রেফতারের প্রসংগে সুকান্ত বলেন ই ডি তথ্য প্রমান হাতে নিয়েই এদের বিরুদ্ধে তো বটেই এই কান্ডে যে সব তৃনমুল নেতা নেত্রীরা জড়িত তাদের ও ধরবে বলেই তার কাছে খবর আছে।কেউ বাদ যাবে না। যারা গরীবদের জন্য মোদীর জির পাঠানো চাল মেরে খেয়েছে সে সব দোষীদের একদিন জেলে যেতেই হবে বলে তিনি দাবি করেন।

ভাংগড়ের সোওকতের বিরুদ্ধে নৌশাদের মানহানী প্রসংগে সুকান্ত নৌশাদকে ক্লিন চিট দিয়ে সওকতক্র জংজ্ঞী হিসেবে বর্ননা করেন।সুকান্ত বলেন নৌশাদ ভাংগড়ের বিধায়ক। তার বিরুদ্ধে এখনও কোন অভিযোগ সামনে আসেনি।কিন্তু সওকত একজন তৃনমুল প্রশিত জংগী। আগে রেজ্জাক মোল্লার অফিসের বাইরে টুল পেতে বসে থাকত। পঞ্চায়েত লেভেলের নেতা ছিল।আর এখন তৃনমুল নেত্রী তাকে এমন তোল্লা দিয়েছে যে সে এখন গাড়ি থেকে প্রচুর টাকার মালিক। এছাড়াও প্রচুর গার্ড নিয়ে ঘুরে বেড়ান। তার দাবি এই গার্ড উঠিয়ে নিলে সওকতের আর দেখা মিলবে না।এরপরেই তিনি বলেন পশ্চিমবংগবাসী সবাই জানে সওকত একজন আই এস আই মার্কা জংগী, এ বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই।মুখ্যমন্ত্রীই তো ভরা সভা থেকে সওকতকে উদ্দেশ্য করে বলেছিলেন তুই ই তো বোম বাধিস। তারপর আর কি বাংলার মানুষের বোঝার কিছু বাকি থাকে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *