রোগী মৃত্যু নিয়ে রাজ্য সরকার এতটা কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করবে তা অনেকেই মনে করেননি।

পঃ মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- কান পাতলে এনিয়ে দিনভর গুঞ্জন শোনা গেছে চিকিৎসক মহলে।
দু একজনকে জুনিয়র ডাক্তার দের সমর্থনে হাতে পোস্টার নিয়ে ঘুরতে দেখা গেলেও ওইটুকুই । তাই
আগাম ঘোষণা করেও আন্দোলনে বিমুখ অধিকাংশ জুনিয়র ডাক্তার। বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে এক প্রসূতির মৃত্যু ও ৪ প্রসূতির সঙ্কটজনক পরিস্থিতির জেরে এবং এক সদ্যজাতর মৃত্যুর ঘটনায় হাসপাতাল সুপার সহ ৬ সিনিয়র ডাক্তার এবং ৬ জন জুনিয়র ডাক্তারকে সাসপেন্ড করার কথা ঘোষণা করেন। এঘটনায় রাজ্যের মুখ্য সচিবের নির্দেশ সিআইডি তদন্ত চলছিল।
এরপর রাজ্য স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশ মেনে পুলিশ স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করে।
শুক্রবার সিআইডি আধিকারিকরা কোতয়ালী থানায় গিয়ে সেই এফআইআর কপি সংগ্রহ করেন। কান ঘুষো শোনা গেছে এফআইআর এ নাম থাকা ডাক্তাররা গ্রেপ্তার হতে পারেন।

রাজ্য সরকার জুনিয়র ডাক্তার দের বিরুদ্ধে শাস্তি মূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করায় কর্মবিরতি ও আন্দোলন এর হুমকি দেন জুনিয়র ডাক্তাররা

তবে এদিন সকাল থেকেই মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের চিত্র ছিল অন্য দিনের মতোই স্বাভাবিক। রোগী ভর্তি থেকে আউটডোর পরিষেবা সবই স্বাভাবিক ছিল।

সন্ধ্যায় সুপারের ঘর থেকে বেরিয়ে সিআইডি দল সোজা চলে আসে কলেজের অধ্যক্ষ ডাঃ মৌসুমী নন্দীর অফিসে। রাত পর্যন্ত ছিলেন। আজই তাঁরা গ্রেপ্তার করতে পারেন সাসপেন্ড হওয়া সিনিয়র ও জুনিয়র ডাক্তারদের।
এদিন সন্ধ্যায় জুনিয়র ডাক্তাররা পুনরায় তাঁদের আন্দোলনের রূপরেখা তৈরি করতে নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসেন। তবে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত তাঁরা কোনও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেননি।

এদিন রাতে সুপার জানান , এখনো পর্যন্ত কোনো জুনিয়র বা সিনিয়র ডাক্তার কাজে যোগ দিতে অনিচ্ছুক বা কাজ করছেন না এমন কোনো খবর তাঁর কাছে নেই। রোগী ভর্তি থেকে পরিষেবা সব কিছু ঠিকঠাক চলছে। আর এল স্যালাইন ব্যবহার নিয়ে রাজ্য স্বাস্থ্য ভবন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার পর থেকে সেই স্যালাইন ব্যবহার করা হচ্ছে না।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *