নিজস্ব সংবাদদাতা,মালদা —– জন্মগত দু’চোখে অন্ধ, ভিক্ষা করে চলে সংসার। বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত একই পরিবারের তিন প্রতিবন্ধী। সরকারি দপ্তরে একাধিকবার আবেদন জানিয়েও মিলছে না সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা। এমনকি দিদিকে বল হেল্পলাইন নাম্বারে ফোন করে কোন কাজ হচ্ছে না। প্রশ্ন, আর কতটা গরিব হলে পাওয়া যাবে সরকারি সুযোগ-সুবিধা? সরকারি আধিকারিকদের বক্তব্য প্রতিবন্ধী ভাতা থেকে শুরু করে আরো অন্যান্য সরকারি প্রকল্পের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। রতুয়া ১ ব্লকের সামসী গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত বান্ধাকুরি গ্রামের বাসিন্দা এসতাব আলী। তার পাঁচ ছেলে এরমধ্যে তিন ছেলে সাদ্দাম হোসেন, জিয়াউল হক ও আনিকুল হক জন্মগতভাবে শারীরিক প্রতিবন্ধী। তারা চোখে দেখতে পান না। গ্রামে গ্রামে ভিক্ষা করে চলে তাদের সংসার। বয়স্ক ভাতা, মানবিক ভাতা, এমনকি আবাস যোজনা প্রকল্পের একটি বাড়িও জোটে নি তাদের কপালে। তাদের আক্ষেপ, সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধার জন্য প্রশাসনিক দপ্তরে চক্কর লাগিয়েও কোন কাজ হচ্ছে না। এমনকি গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান এবং পঞ্চায়েত সদস্য তাদের কথা শোনেন না। আর কতটা গরীব হলে পাওয়া যাবে সরকারি প্রকল্পের সুযোগ সুবিধা। যদিও এই প্রসঙ্গে রতুয়া ১ ব্লকের বিডিও রাকেশ টোপ্পোকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন মানবিক ভাতার জন্য জেলা প্রশাসনকে আলাদা করে চিঠি পাঠাতে হয়, সেটি পাঠিয়ে দেব। আবাস প্রকল্পে নতুন করে নামকরন শুরু হলে তাদের নাম নথিভুক্ত করে দেওয়া হবে।
জন্মগত দু’চোখে অন্ধ, ভিক্ষা করে চলে সংসার, বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত একই পরিবারের তিন প্রতিবন্ধী।

Leave a Reply