নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ হিন্দু বাঙালির ঘরে প্রচলিত শব্দে বারো মাসে তেরো পার্বণের এখন ছত্রিশ পার্বণে পরিণত হয়েছে আর তার একটি অন্যতম সরস্বতী পুজো, যদিও এই পুজো মূলত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পূজো বলেই পরিচিত কিন্তু কালের পরিবর্তনে ক্রমে ক্রমে তা হিন্দু বাড়িতে বাড়িতে পূজো হিসাবে জায়গা করে নিয়েছে আর এর অন্যতম কারণ যেহেতু সরস্বতী দেবী কে হিন্দু শাস্ত্র মতে শিক্ষার দেবী বা বাগদেবী হিসাবে দেখা হয় সেহেতু হিন্দু বাঙালির ঘরে ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার মনোননিবেশ বা উন্নতির জন্য বাগদেবীর আরাধনা করা হয়।
এটা বরাবরের প্রচলিত কিন্তু ব্যতিক্রম চিত্র উঠে এলো এবার বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের এক মুসলিম ভাইয়ের সৌজন্যে।
হিন্দু রীতি নীতি মেনে বাগ দেবীর আরাধনায় মগ্ন হয়েছে মুসলিম বাড়ির ছেলে আব্দুল হাই।
গ্রামীণ বাংলার ছেলে আব্দুল হাই তার পুজোর থিমে নিয়ে এসেছে পল্লী প্রকৃতির সবুজ ঘেরা গ্রামে মাটির কুঁড়েঘরে গ্রাম্য বধুরূপী সরস্বতী দেবীর।
একেবারে নিজস্ব ভাবনায় ফুটিয়ে তুলেছে এই থিম যা সময়োপযোগী এক ভাবনা হিসাবে প্রশংসিত গুণীজন মহলে।
এমনি তেও দেশের প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রীদের উৎসবের মাঝে বাঁকুড়ার ইন্দাসের এক পল্লী গ্রামের আব্দুল হাইয়ের এই পুজো নিঃসন্দেহে এক সম্প্রীতির একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হিসাবে উল্লেখ করা যেতে পারে।
এটা উল্লেখযোগ্য যে, কোন ধর্মীয় অনুষ্ঠান সর্ব ধর্মের মানুষকে এক ছাতার তলায় আনতে পারে কিন্তু অন্য ধর্মের একজন যুবক বাগদেবীর আরাধনা মগ্ন হয়েছে এটা অনন্য নজির।
আজকের আব্দুল হাইয়ের এই পুজো শুধু এক পূজো নয় এ এক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির একটি দলিল যা আগামী প্রজন্মকে উদ্বুদ্ধ করবে মানবিক পরিবর্তনের।
পল্লী প্রকৃতি সবুজ ঘেরা থিম নিয়ে মুসলিম পরিবারের ছেলে আব্দুল হাইয়ের সরস্বতী পুজো।

Leave a Reply