বালুরঘাটে আত্রেয়ী নদীতে বেশ কিছুদিন ধরে মাছ কম উঠছে, স্বাভাবিকভাবেই মৎস্যজীবীরা অসুবিধায় পড়ছেন।

দঃ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- বালুরঘাটে আত্রেয়ী নদীতে বেশ কিছুদিন ধরে মাছ কম উঠছে। স্বাভাবিকভাবেই মৎস্যজীবীরা অসুবিধায় পড়ছেন। স্থানীয় মৎস্যজীবীরা আত্রেয়ী নদী থেকে মাছ ধরে সেই মাছ নিয়ে স্থানীয় মাছ বাজারে বিক্রি করেন। এতে যে লাভ হয় সেই লাভের টাকায় তাদের সংসার চলে। কিন্তু ইদানিংকালে মাছ কম ওঠায় এইসব মৎস্যজীবীরা তাদের সংসার চালানোর জন্য প্রচন্ড অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন।অবস্থা এমনই হয়েছে যে তারা মাছ ধরার পেশা ছেড়ে অন্য পেশায় যাবার কথা ভাবছেন।
এখন প্রশ্ন হল যে আত্রেয়ী নদীতে কোনদিন মাছের অভাব হতো না সেখানে কি এমন ঘটল যে মাছ নদীতে কম উঠছে?
এ বিষয়ে স্থানীয় মৎস্যজীবীরা বলেন যে, বছর দুয়েক আগে বালুরঘাটে আত্রেয়ী নদীতে জল ধরে রাখার জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশক্রমে স্বল্প উচ্চতার একটা বাঁধ দেওয়া হয়েছে। এই বাঁধের উদ্দেশ্য ছিল একদিকে যেমন আত্রেয়ী নদীতে খরার সময় জল ধরে রাখা তেমনি অন্যদিকে মাছের যোগানের যেন কোন ঘাটতি না থাকে।এর সাথে আরও একটা উদ্দেশ্য ছিল যে খরার মরশুমে কৃষি জমিতে জলের যেন ঘাটতি না হয়। বাঁধ দেওয়ার ফলে আত্রেয়ী নদীতে জল থাকছে ঠিকই কিন্তু সেই জলে মাছ থাকছে না। মৎস্যজীবীদের মতে অবৈজ্ঞানিকভাবে বাঁধ নির্মাণ করার ফলে বাঁধের উল্টোদিকের জলে মাছ হচ্ছে কিন্তু সেই জল পেরিয়ে বাঁধের দিকে অর্থাৎ বালুরঘাটে আত্রেয়ী নদীর জলে সেভাবে মাছ আসছে না। আর এজন্যই মাছের অভাব ঘটছে। বর্ষার সময় বালুরঘাটের আত্রেয়ী তে কিছু মাছ পাওয়া গেলেও অন্যান্য সময় সেভাবে মাছ পাওয়া যাচ্ছে না। স্থানীয় বাজারেও আর সেভাবে আত্রেয়ী নদীর বিখ্যাত রাইখর, বাটা, ট্যাংরা মাছ দেখা যাচ্ছে না। এই বিষয়ে স্থানীয় মৎস্যজীবী এবং উত্তরবঙ্গ মৎস্য ফোরামের সদস্য কি বলছেন তা আমরা শুনবো।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *