নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ—- জাল ওবিসি শংসাপত্র বাতিল হতেই বাংলাদেশী নাগরিকত্বের অভিযোগ উঠা তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধানের প্রধান পদ বাতিল, সেই জায়গায় দায়িত্ব পেলেন উপ-প্রধান, সদস্য পদ বাতিল করে গ্রেপ্তার কেন নয় প্রশ্ন বিরোধীদের, সিবিআই তদন্তের দাবি বিজেপির, দায় ঝেড়ে ফেলে কংগ্রেসকে আক্রমণ তৃণমূলের, প্রধানের দায়িত্ব পাওয়া উপ-প্রধানকে মিষ্টিমুখ করালো তৃণমূলের একাংশ
বাংলাদেশী নাগরিকত্বের অভিযোগ উঠা তৃণমূল পঞ্চায়েত প্রধানের ওবিসি শংসাপত্র বাতিল হওয়ার পরেই এবার বাতিল হল প্রধান পদ।হাইকোর্টের নির্দেশে পদক্ষেপ মহকুমা প্রশাসনের। আপাতত প্রধানের দায়িত্বভার গ্রহণ করলেন উপ-প্রধান। তাকে মিষ্টি খাইয়ে তৃণমূলেরই একাংশ সম্বর্ধনা জানালো। যদিও এখনো খারিজ হয়নি সদস্য পদ। প্রধান পদ বাতিল হতেই তৃণমূলকে তীব্র আক্রমণ বিরোধীদের। শুধু প্রধান পদ বাতিল কেন গ্রেপ্তার কেন নয়। প্রশ্ন বিরোধীদের? অন্যদিকে বাংলাদেশি যোগ রয়েছে, প্রয়োজনে সিবিআই তদন্ত হোক দাবি বিজেপির। সাফাই তৃণমূলের। তুঙ্গে রাজনৈতিক তরজা। মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের তৃণমূল পরিচালিত রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান লাভলী খাতুনের প্রধান পদ বাতিল। প্রশাসনের নির্দেশে সেই জায়গায় দায়িত্ব নিলেন উপ-প্রধান একরামুল হক। লাভলি খাতুন বিগত পঞ্চায়েত ভোটে কংগ্রেসের প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জয় লাভ করে ছিলেন। প্রধান আসন সংরক্ষিত থাকায় সুযোগ বুঝে তৃণমূলে যোগদান করে প্রধান হয়ে যান।লাভলী খাতুনের কাছে ভোটে পরাজিত তৃণমূল প্রার্থী রাহেনা সুলতানা কলকাতা হাইকোর্টে অভিযোগ করেন লাভলী খাতুন বাংলাদেশের নাগরিক।জাল নথিপত্র বের করে জাল ওবিসি শংসাপত্র করে তিনি প্রধান হয়েছেন। হাইকোর্টে অমৃতা সিনহার ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে তদন্ত শুরু করেন মহকুমা শাসক সৌভিক মুখার্জি। মহকুমা শাসকের দপ্তরে একাধিকবার শুনানি হয়। শুনানিতে একাধিক অসঙ্গতি উঠে আসে।ভুয়ো বাবার নাম ব্যবহার করে এবং সাক্ষীদের সই জালিয়াতি করে লাভলী খাতুন ওবিসি শংসাপত্র বের করে ছিলেন।সেই রিপোর্ট দেওয়া হয় হাইকোর্টে।কোর্টের নির্দেশে তারপর শোকজ করা হয় লাভলী খাতুন কে। তারপরেই এবার বাতিল প্রধান পদ। যদিও এখনো সদস্য পদ খারিজ হয়নি।সেই নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিরোধীরা। সাথে বিরোধীদের দাবি সদস্য পদ বাতিলের সঙ্গে গ্রেফতার করা হোক লাভলী খাতুন কে। বিজেপির আশঙ্কা তার বাংলাদেশের যোগ রয়েছে। তাই সিবিআই তদন্তের প্রয়োজন। অন্যদিকে তৃণমূলের দাবি তার জাল শংসাপত্র বের করার ব্যাপারে কংগ্রেসের হাত ছিল। কংগ্রেস টিকিট দিয়ে ছিল। এক্ষেত্রে মামলা কারী নিজেও তৃণমূল করে। তাই প্রশাসন সব খতিয়ে দেখে সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রশাসন সূত্রে খবর ধাপে ধাপে প্রত্যেকটা পদক্ষেপ নেওয়া হবে নিয়ম মেনে।
Leave a Reply