সিপিএম এখন রাস্তায় ঘুরে ঘুরে নাটক করছে- কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না সোনামুখীর বিজেপির বিধায়ক।

আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ- সর্বজন শ্রদ্ধেয় কমরেড জ্যোতি বসুর স্মৃতিকে অমর করে রাখতে এবং সমাজবিজ্ঞান গবেষণার প্রসার ঘটানোর লক্ষ্যে পশ্চিমবঙ্গের বাঁকুড়া জেলার সোনামুখীতে অর্থ সংগ্রহে এসেছেন।এই কেন্দ্রকে পরিপূর্ণরূপে কার্যকর করতে এবং গবেষণা ও শিক্ষামূলক কার্যক্রমকে এগিয়ে নিয়ে যেতে প্রয়োজন যথেষ্ট পরিমাণ অর্থ ও সম্পদ। সেই উদ্দেশ্যেই তহবিল সংগ্রহের উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন সিপিআই(এম)-এর বর্ষীয়ান নেতা বিমান বসু।

এই গবেষণা কেন্দ্রটি শুধুমাত্র জ্যোতি বসুর আদর্শ ও জীবনদর্শনের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য নয়, এটি হবে সমাজতত্ত্ব, ইতিহাস ও রাজনৈতিক গবেষণার এক গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্র। ইতোমধ্যেই কেন্দ্রটির প্রথম পর্যায়ের নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে এবং গত ১৭ জানুয়ারি ২০২৫ তারিখে এর দ্বিতল ভবনের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিপিআই(এম) পলিটব্যুরোর কো-অর্ডিনেটর প্রকাশ কারাত এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।

এই উদ্যোগকে অনেকে বাহবা জানালেও কটাক্ষ করেছেন বাঁকুড়া সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক। তিনি বলেন সিপিএম এখন রাস্তায় ঘুরে ঘুরে নাটক করছে, অর্থ সংগ্রহ করছে, কিন্তু মানুষ বুঝে গেছে—সিপিএমকে ভোট দেওয়া আর তৃণমূলকে ভোট দেওয়া একই জিনিস। ৩৪ বছর ধরে বাংলার মানুষ সিপিএমের শাসন দেখেছে, তৃণমূলও তারই ধারাবাহিকতা। শিক্ষার মান থেকে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো—সবক্ষেত্রেই এই দুই দল মিলে রাজ্যকে পিছিয়ে দিয়েছে।

আজকের পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য ও শিক্ষার দুরবস্থার জন্য যেমন তৃণমূল দায়ী, তেমনই সিপিএমও সমানভাবে দায়ী। তাই মানুষ বুঝে গেছে, এদের হাতে বাংলার উন্নয়ন সম্ভব নয়। একসময় মানুষ সিপিএমকে বর্জন করেছিল, ভবিষ্যতেও করবে। বামফ্রন্টকে আর বাংলার মানুষ গ্রহণ করবে না।

এছাড়াও, বামফ্রন্ট নিজেদের বিজেপির বিরোধিতায় এতটাই মগ্ন করেছে যে, কখনও কখনও তা দেশের বিরোধিতায় পরিণত হয়েছে। সাধারণ মানুষ সেটা বুঝে ফেলেছে বলেই আজ বামফ্রন্টের পাশে আর কেউ নেই। শূন্য থেকে তারা আর ফিরে আসতে পারবে না। বাংলার ভবিষ্যৎ এদের হাতে নয়, নতুন দিগন্তের পথে এগোতে হবে বাংলার মানুষকেই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *