তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে: উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপেক্ষিত পঞ্চায়েত প্রধান, জেলা পরিষদ সদস্য! ক্ষুব্ধ নেতৃত্ব।।

জলপাইগুড়ি, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  শালবাড়ি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের অর্থে তৈরি হতে চলেছে একটি কমিউনিটি হল। দীর্ঘদিন ধরেই এই দাবি জানিয়ে আসছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এই প্রজেক্টের জন্য বারবার বিভিন্ন দপ্তরে যোগাযোগ করেছেন স্থানীয় পঞ্চায়েত প্রধান থেকে শুরু করে সদস্যরাও।

অবশেষে উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের অর্থ তহবিলে শুরু হয়েছে কমিউনিটি হল নির্মাণের কাজ। সব ঠিকঠাক চললেও বিতর্ক তৈরি হয় উদ্বোধনকে কেন্দ্র করে।

উদ্বোধনে আমন্ত্রণ না পেয়ে ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতৃত্ব

এই কমিউনিটি হলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ধূপগুড়ি বিধানসভার বিধায়ক নির্মল চন্দ্র রায়, তৃণমূলের বানাহাট ব্লক সভাপতি সাগর গুরু, এবং আশ্চর্যের বিষয়—সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপির স্থানীয় প্রতিনিধিরাও। অথচ আমন্ত্রণই জানানো হয়নি পঞ্চায়েত প্রধান, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য এবং জেলা পরিষদের সদস্যদের।

এই ঘটনার পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন প্রধান থেকে শুরু করে পঞ্চায়েত সদস্য জেলা পরিষদ সদস্য, পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য এবং স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃত্ব। প্রশ্ন তোলেন—তৃণমূল পরিচালিত পঞ্চায়েত বোর্ডকে কি ইচ্ছাকৃতভাবে বঞ্চিত করা হল? অনুষ্ঠান মঞ্চে স্থানীয় শাসক দলের জনপ্রতিনিধিদের না দেখতে পেয়ে রাজনৈতিক মহলেও শুরু হয়েছে গুঞ্জন।

তবে এই ঘটনাকে ঘিরে বিতর্ক পাশাপাশি প্রধান পঞ্চায়েত ও জেলা পরিষদ সদস্যের সাথে বিধায়কের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এলো।

এদিন এই বিষয়ে জেলা পরিষদ সদস্য অনামিকা রায় বলেন

এদিনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিয়ে প্রধান শিক্ষককে ফোন করা হলে আমাদের আমাদের এডিটর ইন চিপ কে ফোনে প্রধান শিক্ষক জানায় : বিষয়টি তাঁর বিদ্যালয় সংক্রান্ত ছিল না, তবে প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত নিয়ে তাঁর মতামত চাওয়া হয়নি।

আমাদের এডিটর ইন চিপ কে ফোনে বিধায়ক নির্মল চন্দ্র রায় বলেন, “উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমি ছিলাম উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন দপ্তরের প্রতিনিধি হিসেবে। আমন্ত্রণ নিয়ে আমার কোনও হাত নেই। পুরো বিষয়টাই স্কুলের তত্ত্বাবধানে হয়েছে” এই বক্তব্য ঘিরে রীতিমতো রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।

প্রধানের প্রতিক্রিয়া:

পঞ্চায়েত প্রধান স্পষ্ট ভাষায় বলেন,
“আমাদের সম্পূর্ণভাবে বঞ্চিত করা হয়েছে। এই প্রকল্পে আমাদের সক্রিয় ভূমিকা ছিল। অথচ উদ্বোধনে আমাদের একবারও জানানো হয়নি। এটা শুধুই অপমান নয়, একটা রাজনৈতিক চক্রান্ত।”

 

এই ঘটনা তৃণমূলের ভিতরকার গোষ্ঠী কোন্দলের এক চিত্র বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। এই বিষয় তৃণমূল কংগ্রেসের আঞ্চল সভাপতি রবি সারকার বলেন এটা একটা চক্রান্ত দলকে হেনস্থা করার

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *