সুপ্রিম কোর্টের এসএসসি মামলায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের রায়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে চলেছে স্কুলগুলি।

নিজস্ব সংবাদদাতা, বালুরঘাট, দক্ষিণ দিনাজপুর:- সুপ্রিম কোর্টের এসএসসি মামলায় ২৬ হাজার চাকরি বাতিলের রায়ে সমস্যার সম্মুখীন হতে চলেছে স্কুলগুলি। যে সমস্ত স্কুলে ২০১৬ সালের এসএসসিতে শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী নিয়োগ হয়েছে, অসুবিধায় সে স্কুলগুলি।
এমনিতেই বিভিন্ন স্কুলে রয়েছে শিক্ষকের অপ্রতুলতা। এবার এই রায়ের ফলে, বিষয় ভিত্তিক শিক্ষকের অভাবে পড়তে চলেছে স্কুলগুলি। তবে যেহেতু সুপ্রিম কোর্টের রায়, তাই এ বিষয়ে মুখ খুলতে চাননি বিভিন্ন স্কুলের চাকরি হারা থেকে প্রধান শিক্ষক।

বালুরঘাট হাই স্কুলের চারজন শিক্ষক এবং দুইজন অশিক্ষক কর্মী (ক্লারিক্যাল) এই মামলার রায়ে চাকরি খোঁয়াতে চলেছেন। এর ফলে অসুবিধার সম্মুখীন হতে হবে স্কুলগুলিকে। বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকের অভাবের পাশাপাশি, উচ্চ মাধ্যমিক ও একাদশের খাতা দেখা নিয়ে সমস্যা দেখা দেবে।

বালুরঘাট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক সৃজিত সাহা জানান, এমনিতেই স্কুলগুলিতে শিক্ষকের অপ্রতুলতা রয়েছে। সেখানে চারজন শিক্ষক চলে গেলে বিষয় ভিত্তিক পড়ানোর ক্ষেত্রে অসুবিধা হবে। পাশাপাশি দুইজন ক্লারিকেল স্টাফ চাকরি চলে যাওয়ায়, স্কুলের ক্লারিক্যাল কাজে প্রচন্ড সমস্যা হবে। পাশাপাশি, ওইসব শিক্ষকেরা উচ্চ মাধ্যমিক এবং একাদশ শ্রেণির খাতা দেখছেন। সে ক্ষেত্রেও অসুবিধার সৃষ্টি হতে পারে। তিনি আশা করেন সরকার নিশ্চয়ই এই বিষয়টি দেখবে।
অন্যদিকে, যে সমস্ত চাকরি হারারা পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী, তারা আর্থিক সংকটে পড়বেন।

এ বিষয়ে চাকরি-হারা শিক্ষকেরা অনেকেই এদিন স্কুলে আসেননি। যারা এসেছেন, তারাও এদিন ক্যামেরার মুখোমুখি হতে চাননি।

এ বিষয়ে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক দেবাশীষ সমাদ্দার জানান, এই দিনের রায়ের কোনো নামের লিস্ট আমাদের পাঠানো হয়নি। তবে আগের পাঠানো হাইকোর্টে লিস্ট অনুযায়ী দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার তালিকায় ৫১১ জন শিক্ষক এবং ৭০ জন অশিক্ষক কর্মীর নাম রয়েছে। অর্ডার কপি আসার পর নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করা হবে।

এদিকে এই ঘটনায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার রাজ্য সরকারকেই দুষেছেন। তিনি জানান, রাজ্য সরকারের দুর্নীতির কারণেই আজ যোগ্যদের চাকরি-হারা হতে হয়েছে। এ নিয়ে রাজ্য জুড়ে আন্দোলনে নামবে বলেও জানিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *