নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা—-একাধিক অভিযোগে বন্ধের নির্দেশ একটি নার্সিংহোম এবং একটি ল্যাবরেটরি। করা হলো জরিমানা। শুরু হলো রাজনৈতিক তরজা। বিজেপির অভিযোগ প্রশাসন এবং তৃণমূলের মদতে এই ভাবে নিয়ম ছাড়া নার্সিংহোম গজিয়ে উঠছে। সরকারি হাসপাতালে মানুষ পরিষেবা পাচ্ছে না। এখানেও গিয়ে ঠকছে। অপরদিকে পাল্টা তৃণমূলের দাবি প্রশাসন সক্রিয়। তাই পদক্ষেপ নিচ্ছে।একাধিক অনিয়মের অভিযোগে মালদার চাঁচল মহকুমা শহরের দিশারি নার্সিংহোম ও একটি এএমআর প্যাথলজিকাল ল্যাবরেটরি বন্ধ করার নির্দেশ দিল প্রশাসন। শুধু তাই নয়, অনিয়মের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোমকে ২ লক্ষ টাকা এবং সংশ্লিষ্ট প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে।যদিও প্রশাসনিক পদক্ষেপ নিয়ে একটি সংস্থার কর্তৃপক্ষ ক্যামেরার সামনে মুখ খুললেও অন্য সংস্থার কর্তৃপক্ষ মুখ খুলতে চাইনি। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে, সংশ্লিষ্ট নার্সিংহোম পরিদর্শনে গিয়ে ডিস্ট্রিক্ট সার্ভিল্যান্স টিমের সদস্যরা পরিদর্শন চলাকালীন কোনও রেসিডেন্ট মেডিকেল অফিসারের (আরএমও) দেখা পাননি, আল্ট্রাসনোগ্রাফি এবং সিটি স্ক্যান মেশিন থাকলেও সেগুলির লাইসেন্সের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়ে গিয়ে ছিল, এক্স-রে রিপোর্টে একজন রেডিওলজিস্ট-এর নামে স্বাক্ষর করা থাকলেও ওই নামে কোনও রেডিওলজিস্ট ওয়েস্ট বেঙ্গল মেডিক্যাল কাউন্সিলে নথিভুক্ত নেই। পাশাপাশি আলট্রাসনোগ্রাফি রিপোর্টে একজন চিকিৎসকের স্বাক্ষর থাকলেও ওই চিকিৎসক জানিয়ে দেন যে সেই নার্সিংহোমের সঙ্গেই তিনি জড়িত নন। এছাড়া ওটি রেজিস্টারে সার্জেন বা অ্যানাস্থেসিস্টের স্বাক্ষর ছিল না। এদিকে সংশ্লিষ্ট প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরির রেজিস্টারে কোনও টেকনিশিয়ান বা প্যাথলজিস্টের স্বাক্ষর যেমন মেলেনি তেমনি পাওয়া গিয়েছে একাধিক অভিযোগ। ল্যাবরেটরি সংস্থা ও দিশারী নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ জানান তাদের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন জনিত কিছু কারণে জরিমানা করা হয়েছে। নার্সিংহোম কর্তৃপক্ষ সরাসরি না বললেও জরিমানার কথা মেনে নেন। তবে বন্ধ করার কোন নির্দেশিকা নেই।
কিন্তু প্রশ্ন উঠছে এলাকা জুড়ে যে ভাবে ব্যাঙের ছাতার মতো নার্সিংহোম গজিয়ে উঠছে। সেগুলি কতটা বৈধ ভাবে। প্রশ্ন হচ্ছে স্বাস্থ্য দপ্তরের ভূমিকা নিয়ে। কার্যত স্বাস্থ্যের নামে চলছে ব্যবসা।
একাধিক অভিযোগে বন্ধের নির্দেশ একটি নার্সিংহোম এবং একটি ল্যাবরেটরি।

Leave a Reply