নিজস্ব সংবাদদাতা, দক্ষিণ দিনাজপুর:- ২০২৫ সালের মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলাকে যক্ষা (টিবি) মুক্ত ঘোষণার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসন ও স্বাস্থ্য দপ্তর একসঙ্গে এক অভিনব ও জনসচেতনতা মূলক কর্মসূচির সূচনা করল। এই কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার বালুছায়া অডিটোরিয়ামে জেলা শাসকের দপ্তরে এক বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জেলা শাসক বিজন কৃষ্ণা, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. সুদীপ দাস, জেলা পরিষদের সভাধিপতি সহ একাধিক প্রশাসনিক ও স্বাস্থ্য আধিকারিক।
এই কর্মসূচির মূল ভিত্তি ‘নিক্ষয় মিত্র’ নামক একটি স্বেচ্ছাসেবক-নির্ভর প্রকল্প। জেলার প্রায় ২৭০০ যক্ষা আক্রান্ত রোগীর জন্য স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এই ‘নিক্ষয় মিত্র’-দের কাজ হবে মাসিক ভিত্তিতে নির্দিষ্ট রোগীদের হাতে প্রোটিন সমৃদ্ধ প্রায় ৫০০ টাকার পুষ্টিকর খাদ্যসামগ্রী তুলে দেওয়া।
জানা গিয়েছে, জেলার অধিকাংশ যক্ষা আক্রান্ত ব্যক্তি গ্রামীণ ও আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবার থেকে আসেন। ফলে ওষুধের পাশাপাশি সঠিক পুষ্টির অভাবে চিকিৎসার গতি ব্যাহত হয়। এই প্রেক্ষিতে স্বাস্থ্য দপ্তর এমন উদ্যোগ নিয়েছে যাতে চিকিৎসার পাশাপাশি রোগীরা প্রয়োজনীয় পুষ্টিও পেতে পারেন।
স্বেচ্ছাসেবক হতে জেলার যেকোনো বাসিন্দা নাম নথিভুক্ত করতে পারেন। একজন ‘নিক্ষয় মিত্র’ এক বা একাধিক রোগীর দায়িত্ব নিতে পারেন। এই দায়িত্ব সম্পূর্ণ স্বেচ্ছাসেবার ভিত্তিতে হলেও এর সামাজিক গুরুত্ব অপরিসীম বলে মনে করছেন জেলা প্রশাসনের আধিকারিকরা।
জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডা. সুদীপ দাস জানান, “প্রচুর মানুষ ইতিমধ্যেই এই প্রকল্পে যুক্ত হতে চেয়েছেন। আমরা আশাবাদী, এই জনসম্পৃক্ত প্রকল্পের মাধ্যমে ২০২৫ সালের মধ্যে দক্ষিণ দিনাজপুরকে যক্ষা মুক্ত ঘোষণা করা সম্ভব হবে।”
জেলাশাসক বিজন কৃষ্ণা বলেন, “এটি শুধুমাত্র একটি স্বাস্থ্য সংক্রান্ত উদ্যোগ নয়, বরং এক সামাজিক আন্দোলন। জেলার সাধারণ মানুষ যদি এগিয়ে আসেন, তবে যক্ষা মুক্ত দক্ষিণ দিনাজপুর বাস্তব হয়ে উঠবে।”
বাইট জেলাশাসক বিজিন কৃষ্ণ, দক্ষিণ দিনাজপুর
সুদীপ দাস মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক দক্ষিণ দিনাজপুর
Leave a Reply