এক ঐতিহাসিক মুহূর্তে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করলেন পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবী মলয় পীট।

বোলপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা, মে ২ঃ- এক ঐতিহাসিক মুহূর্তে আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি অর্জন করলেন পশ্চিমবঙ্গের বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবী মলয় পীট। আজ সন্ধ্যায় কাজাখস্তানের আলমাটি শহরে অনুষ্ঠিত এক জাঁকজমকপূর্ণ আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠানে ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডস, লন্ডনের পক্ষ থেকে তাঁকে সম্মানিত করা হয়। ৩৫টিরও বেশি দেশের ৬০জন গণ্যমান্য ব্যক্তি ও সমাজ পরিবর্তনের কাণ্ডারিরা এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সমাজসেবা, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্ষেত্রে তার উল্লেখযোগ্য ও নিরলস কাজের জন্য এই সম্মান প্রদান করা হয়।
ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডস তাদের সরকারি বিবৃতিতে জানিয়েছে, “মলয় পীটের নেতৃত্ব আমাদের প্রতিষ্ঠানের জন্য এক অনন্য প্রেরণা। শিক্ষার গুণমান, ছাত্র-সহায়তা ও সামাজিক সেবায় তাঁর অবদান নতুন মানদণ্ড স্থাপন করেছে। এই আন্তর্জাতিক সম্মান তার প্রাপ্য।”
সমাজের পিছিয়ে পড়া অংশের উন্নয়নের প্রতি মলয় পীটের অটুট সংকল্প ও বিভিন্ন পদক্ষেপ তাকে ও তার কাজকে আজ আন্তর্জাতিক মঞ্চে পৌঁছে দিয়েছে। বিগত কয়েক বছরে তিনি যে সমস্ত প্রকল্পের নেতৃত্ব দিয়েছেন, তা লক্ষ লক্ষ মানুষের জীবনে পরিবর্তন এনেছে। তিনি ভারতের গ্রামীণ ও আধা-শহর এলাকায় ১০০-রও বেশি স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার এবং ২৫টি আইটিআই (ইন্ডাস্ট্রিয়াল ট্রেনিং ইন্সটিটিউট) প্রতিষ্ঠা করেছেন। পাশাপাশি, তিনি ৫০টিরও বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন, যার মধ্যে দুটি মেডিকেল কলেজও রয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে গড়ে ওঠা স্বাস্থ্য পরিষেবা কেন্দ্রগুলি হাজার হাজার মানুষকে স্বল্পমূল্যে সুচিকিৎসা পরিষেবা প্রদান করছে।
এই সমস্ত উদ্যোগের মাধ্যমে ইতিমধ্যেই ১০ লক্ষেরও বেশি মানুষকে প্রশিক্ষিত করা হয়েছে এবং ৫ লক্ষেরও বেশি মানুষ চাকরি বা আত্মনির্ভর জীবিকা পেয়েছেন। তার দৃষ্টিভঙ্গিতে সর্বদা সামাজিক উন্নয়ন, যা পরিকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি ইতিবাচক মানসিকতা গঠনে বিশেষ গুরুত্ব পায়, বিশেষত শিক্ষা, গ্রামীণ স্বাস্থ্য ব্যবস্থা, নারীর ক্ষমতায়ন, পরিবেশ সংরক্ষণ ও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহারের ক্ষেত্রে।
ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডস, লন্ডনের পক্ষ থেকে এই আন্তর্জাতিক সম্মান তাঁর মানবসেবামূলক কাজের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কাজাখস্তানে ভারতের হাইকমিশনার ডঃ টি.ভি. নাগেন্দ্র প্রসাদ ও ওয়ার্ল্ড বুক অফ রেকর্ডস-এর সিইও মি. সন্তোষ শুক্লা। এই উপলক্ষে সংস্থার অষ্টম বর্ষপূর্তিও পালন করা হয়।
মলয় পীট বলেন, “এই আন্তর্জাতিক সম্মান শুধু আমার একার নয়, সরকারের সহায়তায় স্বাস্থ্য, শিক্ষা, মানব সম্পদ ও সামাজিক উন্নয়নে যারা কাজ করছেন, তাঁদের সবার সম্মান। এই সম্মান দায়িত্ব ও কর্তব্য আরও বাড়িয়ে দেয়। আমাকে আরও কাজের জন্য উজ্জীবিত করে।”

*****************

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *