দঃ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- মুর্শিদাবাদ তদন্ত: হাইকোর্ট নির্দেশে গঠিত কমিটির রিপোর্টে বিস্ফোরক তথ্য, মুখ্যমন্ত্রীকে কাঠগড়ায় তুললেন সুকান্ত মজুমদার।
হাইকোর্টের নির্দেশে গঠিত কমিটির মুর্শিদাবাদের তদন্ত রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক মহলে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এই প্রসঙ্গে সাংবাদিক বৈঠক করে কড়া প্রতিক্রিয়া দেন উত্তর-পূর্বাঞ্চলের কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী ও পশ্চিমবঙ্গ বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “বিজেপি বহু আগে থেকেই বলে আসছে যে এই ঘটনার পেছনে স্থানীয় কমিউনিটির কিছু দুষ্কৃতী জড়িত। এখন সেই দাবিরই প্রমাণ মিলেছে।”
সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুরু থেকেই বিএসএফ-কে দোষারোপ করে এসেছেন। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য ছিল, বিএসএফ গুলি না চালালে এই ঘটনা ঘটতো না। কিন্তু তদন্ত কমিটির রিপোর্টে স্পষ্ট হয়েছে, প্রকৃত ঘটনা তার চেয়ে অনেক ভিন্ন এবং গভীর ষড়যন্ত্র লুকিয়ে রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, “এই ধরনের উগ্রবাদী কার্যকলাপ মুখ্যমন্ত্রীর মদতেই পশ্চিমবঙ্গে মাথা চাড়া দিচ্ছে। রাজ্য প্রশাসন যদি চুপচাপ বসে থাকে, তাহলে সন্ত্রাস দমন সম্ভব নয়।”
রিপোর্টে নাম উঠে এসেছে তৃণমূল কংগ্রেসের এক কাউন্সিলর মেহবুব আলমেরও। সুকান্ত মজুমদার দাবি করেন, “এই ঘটনার মূল নেতৃত্বে ছিলেন মেহবুব আলম। তাঁর নেতৃত্বেই পুরো অপারেশনটি চালানো হয়েছে।”
এছাড়াও, ইউটিউবার জ্যোতি মালহোত্রার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “এই দেশে এখনো অনেক পাকিস্তানপন্থী ব্যক্তি ঘুরে বেড়াচ্ছে। প্রশাসন কঠোর অবস্থান নিয়েছে। তাদের চিহ্নিত করে একে একে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
সবশেষে, কাশ্মীর সফরে গিয়ে তৃণমূল প্রতিনিধি দলের ওপর কটাক্ষ করেন সুকান্ত মজুমদার। তাঁর মন্তব্য, “এত বড় ঘটনা ঘটে গেল মুর্শিদাবাদে, অথচ তৃণমূল নেতারা ঘুরতে গেছেন কাশ্মীরে। আগে নিজের রাজ্যের সমস্যা দেখুন, তারপর পাহাড়ের শীতল হাওয়া উপভোগ করুন।”
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্য রাজনীতিতে ফের উত্তাপ ছড়ানোর আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এখন দেখার বিষয়, মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর কিংবা তৃণমূল কংগ্রেস এ বিষয়ে কী প্রতিক্রিয়া জানায়।
Leave a Reply