ওঁ নমঃ শ্রী ভগবতে প্রণবায়….!
আমাদের এই মূল্যবান সুন্দর মনুষ্য জীবনে সবাই বিশ্বাসঘাতকতা করতে পারে না। যারা করে, তারা অত্যন্ত চতুর, ঠাণ্ডা মাথার মানুষ। তাদের দেখলে মনে হবে যেন আকাশ থেকে নেমে আসা এক দেবদূত। তারা এমনভাবে নিজেকে উপস্থাপন করবে, যেন আপনি ভাববেন, *একজন মানুষ এত ভালো কীভাবে হতে পারে? তাদের আচরণে এমন মাধুর্য থাকবে যে, যেন সাক্ষাৎ দেবদূত!* আপনি তাদের প্রতি আকৃষ্ট না হয়ে পারবেন না। আপনি হয়তো ভুল করে তাদের সম্মান করতে, বিশ্বাস করতে, বাধ্য হবেন। কিন্তু, এই ভালো মানুষিটা আসলে একটা মুখোশ। আপনি তাদের প্রতি স্বাভাবিক বিশ্বাস এবং ভক্তি, ভালোবাসা দেখাবেন, এরা ততটাই অভিনয়, ছলচাতুরি করবে। আপনার সামনে যখন তাদের আসল রূপ উন্মোচিত হবে, তখন জানবেন দেবদূত না বিশ্বাসঘাতক, প্রতারক।
আগে আমাদের সমাজে শিক্ষক এবং চিকিৎসক ছিল সমাজের দুইটি স্তম্ভস্বরূপ। শিক্ষক ছিলেন আদর্শের প্রতীক, চিকিৎসক ছিলেন বিশ্বাসের প্রতীক। আজ এই দুইটি স্তম্ভ ও সমাজে ভুয়োতে পরিণত হয়েছে। *তাই, বর্তমানে আমাদের সমাজে নিজের পরিবার, পিতা-মাতা, নিজের ভাইবোন, নিকটাত্মীয়, বিশ্বস্ত বন্ধু ছাড়া কাউকে অন্ধবিশ্বাস না করায় ভালো।* এমনকি বর্তমানে ভালোভাবে না জেনে কলিযুগের সব ধর্মীয় গুরুকে ও অন্ধবিশ্বাস না করায় ভালো। বর্তমান সমাজে এইগুলি গাল-গল্প না বাস্তব অভিজ্ঞতা। বর্তমান আধুনিক পরিবর্তনশীল সমাজে আমরা সভ্যতার কোন দিকে যাচ্ছি। আমরা এগিয়ে যাচ্ছি না পিছিয়ে যাচ্ছি???
স্বামী আত্মভোলানন্দ *পরিব্রাজক*
Leave a Reply