মনিষীদের মূল্যায়ন হাওড়ার বাঙালপুরে।

‌ ‌অভিজিৎ হাজরা,বাগনান, হাওড়া :- গ্ৰামীণ হাওড়া জেলার বাগনান থানার ‌” বাঙালপুর মহিলা বিকাশ কেন্দ্র ” – এ নজরুল প্রেমী সাংস্কৃতিক সংস্থা ” কুহেলিকা ” -র আয়োজনে মহিলা বিকাশ কেন্দ্রে – র সভাকক্ষে পালিত হল কাজী নজরুল ইসলাম ও রাসবিহারী বসু – র শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠান। প্রতিবাদী, ‌বিদ্রোহী কবি, স্বাধীনতা সংগ্ৰামীদের উজ্জীবিত করা ব্যক্তিত্ব কাজী নজরুল ইসলাম। নজরুল যুব সমাজের প্রতীক। নজরুল প্রতিবাদী কবি। নজরুল প্রতিবাদী চরিত্র। নজরুলের লেখনী যুব সমাজকে প্রতিবাদী, বিপ্লবী চেতনা ও মনোভাবে উজ্জীবিত করে। রাসবিহারী বসু একজন বিপ্লবী ছিলেন। বর্তমান প্রজন্ম মনিষী ও স্বাধীনতা সংগ্ৰামীদের জীবনী অনুশীলন, স্বাধীনতা সংগ্ৰামীদের মূল্যায়ন করতে ভুলে গেছেন। তাদের সম্পর্কে জানতে আগ্ৰহী নয়। বর্তমান পরিস্থিতিতে যুব সমাজকে বিভিন্ন মনিষীদের জীবনী, কর্মধারা, স্বাধীনতা সংগ্ৰামীদের জীবনী, তাদের বিপ্লবী জীবন, তাদের আত্নত্যাগ স্মরণ করিয়ে দেবার জন্য সমাজসেবী,বাগনান এর ” গাছকাকু ” নামে পরিচিত চন্দ্রনাথ বসু কাজী নজরুল ইসলাম ও রাসবিহারী বসু – র শ্রদ্ধা নিবেদন এর আয়োজন করেছিল ” কুহেলিকা ” সংস্থার মাধ্যমে। ‌মহতী এই অনুষ্ঠানে কাজী নজরুল ইসলাম ও রাসবিহারী বসু – র প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করে শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন এর মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন হাওড়া জেলা পরিষদের বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ মানস কুমার বসু। অনুষ্ঠান এ উপস্থিত সকলে দুই মনিষীর প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাগনান এর ” গান্ধী ” নামে পরিচিত ” বাঙালপুর মহিলা বিকাশ কেন্দ্র” – র কর্ণধার গোপাল ঘোষ, সমাজসেবী নয়ন হালদার,বাচিক শিল্পী দেবযানী বসু,কানন হাঁসদা, জয়ন্তী সোরেন,ড. শিবানী পান্ডে, শিবশঙ্কর বক্সি, মাহফুজ রহমান মিদ্দা,ড. অপূর্ব কুমার বিশ্বাস,কঙ্কাবতী দত্ত, প্রাক্তন শিক্ষক, কবি, সাংবাদিক, অভিনেতা ও চিকিৎসক মধুসূদন বাগ প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। নজরুল ও রাসবিহারী বসু – র জীবনী, স্বাধীনতা সংগ্রামে তাদের অবদান ও মূল্যায়ন করে বক্তব্য রাখেন নয়ন হালদার, প্রসূন কুমার মিত্র,হেমন্ত রায় সাহিত্যিক অংশুমান চক্রবর্তী। নজরুল ও রাসবিহারী বসুর উপর স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন,ড. অর্ণব দত্ত, সুমিতা পয়ড়্যা,ড. সহদেব দলুই, সুব্রত মুখোপাধ্যায় বিজয় চন্দ্র সহ দেশ – বিদেশের পঞ্চাশ জন কবি। ছিল সংগীত, নৃত্য, অঙ্কন প্রতিযোগিতা।প্রত্যেক কবিকে কবিতা পাঠের পর ” দোলন চাঁপা ” সম্মান প্রদান করা হয়। সঙ্গীতা বসু রায়,টুম্পা রায়চৌধুরী,পুলক রায়,অমর কুমার দাস,নীপা চক্রবর্তী,দূরন্ত বিজলী কে বিশেষ সম্মাননা প্রদান করা হয়।প্রত্যেক অতিথি ও কবি ও বিভিন্ন শিল্পীদের হাতে মেমেন্টো, শংসাপত্র সহ একটি করে বৃক্ষ তুলে দেওয়া হয়। মহতী এই অনুষ্ঠানে নৃত্য পরিবেশন করেন কনিনীকা রায় চৌধুরী। সংগীত পরিবেশন করেন নন্দিনী মন্ডল ও উমা সিনহা। অঙ্কন প্রতিযোগিতার সফল প্রতিযোগীদের হাতে পুরস্কার ও শংসাপত্র তুলে দেন সৈকত খাঁড়া ও বাবলু চ্যাটার্জী। ‌হাওড়া জেলা পরিষদ এর বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ মানস বসু মূল্যবান বক্তব্য রাখেন।বাগনান এর ” গান্ধী ” গোপাল ঘোষ নজরুল এর বাগনান এ আগমণ এর প্রেক্ষাপট ব্যাখ্যা করেন। ” কুহেলিকা” – র সম্পাদক চন্দ্রনাথ বসু বন্যপ্রাণী শিকারের বিরুদ্ধে সচেতনতা বার্তা দেওয়ার জন্য কানন হাঁসদা, জয়ন্তী সোরেন কে ধন্যবাদ জানান। জাতীয় সংগীত পরিবেশন এর পর মহতী এই শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন প্রসূন কুমার মিত্র। সারাদিন ব্যাপী এই মহতী শ্রদ্ধা নিবেদন অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ” কুহেলিকা ” সংস্থার চেয়ারম্যান ডাঃ সিরাজুল ইসলাম ঢালি।