দক্ষিণ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- বংশীহারী ব্লকের গাঙুরিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ভাঙ্গা পুকুর এলাকায় আম কুড়াতে গিয়ে এক নাবালক মারধরের শিকার হওয়ার ঘটনায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে এলাকায়।
জানা গেছে, শুক্রবার বিকেলে ১৫ বছর বয়সি সহরব হোসেন নামের এক কিশোর তার কয়েকজন বন্ধুর সঙ্গে স্থানীয় এক আমবাগানের পাশে খেলাধুলা করছিল। আচমকাই একটি আম পুকুরে পড়ে গেলে, ছেলেরা সেই আম কুড়োতে পুকুরে নামে। তখনই পুকুর মালিক হুমায়ুন কবির ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ছেলেদের তাড়াতে শুরু করেন। বেশিরভাগ ছেলেই পালিয়ে গেলেও সহরব ধরা পড়ে যায়। অভিযোগ, এরপর হুমায়ুন কবির সহরবকে পিঠে ও মুখে প্রচণ্ডভাবে মারধর করেন। ঘটনাস্থলেই সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে।
স্থানীয় বাসিন্দারা ছুটে এসে সহরবকে উদ্ধার করে প্রথমে বাড়িতে এবং পরে রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যায়। চিকিৎসার পর রাতে পরিবারের সদস্যরা বাড়ি ফিরলে অভিযোগ, হুমায়ুন কবির ও তার পরিবারের সদস্যরা মনোয়ারা খাতুন ও তার স্বামী সহ পরিবারের আরও কয়েকজনকে মারধর করে। বর্তমানে মনোয়ারা খাতুনের স্বামী গুরুতর আহত অবস্থায় গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
এ নিয়ে মনোয়ারা খাতুন শুক্রবার দুপুরে বংশীহারী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
মনোয়ারা খাতুনের অভিযোগ, “আমার ছেলেকে যেভাবে মারা হয়েছে, তা একেবারেই অমানবিক। এরপর বাড়ি ফিরে আমাদের ওপর আবার হামলা হয়েছে। আমি প্রশাসনের কাছে বিচার চাই।”
অন্যদিকে অভিযুক্ত হুমায়ুন কবিরের ভাই আইনুল রহমান বলেন, “ওরা আমাদের পুকুরে মাছ ধরতে গিয়েছিল। আমরা মারিনি, বরং আমাদের পরিবারই আক্রান্ত হয়েছে।”
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলে জানা গেছে।
Leave a Reply