নদীয়ার কৃষ্ণচন্দ্র রাজা নির্মিত যুগল কিশোর মন্দিরের অজানা কাহিনী।।।

যুগল কিশোর মন্দিরটি নদীয়ার কৃষ্ণচন্দ্র রাজা, নির্মাণ করেছিলেন। এই মন্দিরের পিছনে রয়েছে অজানা কাহিনী বর্তমান এই মন্দিরের দায়িত্বের যিনি রয়েছেন তিনি জানান মহর্ষি গঙ্গারাম দাস বৃন্দাবন থেকে গোবিন্দ কে এখানে নিয়ে এসেছিলেন, তখন সেখানে ছিল বকুল গাছ এই বকুল গাছের নিচেই তিনি বসবাস করতে থাকেন।

এরপর বেশ কিছুদিন যাওয়ার পর তিনি স্বপ্নদ্রষ্টা হন একা থাকতে তার আর ভালো লাগছে না, মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্রের কাছে রাধারানী রয়েছে সেখান থেকে নিয়ে এসে প্রতিষ্ঠা করতে হবে। অনেক খোঁজাখুঁজির পর দেওয়ালের ফাঁকে লুকানো ছিল রাধারানী।

মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র নদীপথে মন্দিরে এসে কোন এক বৈশাখী সংক্রান্তির দিনে এই মন্দিরে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন তার থেকেই এই মন্দিরের নাম হয় যুগল কিশোর মন্দির। তারপরের দিনই ছিল পয়লা জ্যৈষ্ঠ অর্থাৎ জামাইষষ্ঠী সেই দিনটিকে স্মরণ রাখার জন্য আজও এই মেলা হয়ে আসছে, কেউ কেউ আবার বলে থাকেন জামাইষষ্ঠীর মেলা। প্রাচীন এই লোকো কথাকে মান্যতা দিয়ে জামাইষষ্ঠীর দিনে ভিড় জমান শাশুড়ি থেকে শুরু করে জামাই মেয়ে সকলেই। নাই নাই করে এই মেলার বয়স ৩০০ বছরেরও বেশি প্রাচীন। প্রাচীন এই লোক কথার উপরে ভিড় করে বহুদূরান্ত থেকে যুগল মন্দিরে পুজো দিতে আসেন সকলেই।

আড়ংঘাটা স্টেশন থেকে হাঁটা পথে চূর্ণী নদীর ধারে এই যুগল মন্দির অবস্থিত। প্রাচীন সেই বকুল গাছ আজও বর্তমান। জামাই মেয়ের মঙ্গল কামনায় শাশুড়িরা প্রথমে যুগল কিশোরকে বরণ করবার পর মেয়ে জামাই বরণ করা হয় এমনটাই রেওয়াজ এখানকার মানুষদের। নতুন হোক বা পুরনো ধর্মের টানে ভিড় করেন সকলেই। জ্যৈষ্ঠ মাস এক মাস ব্যাপী চলে এই মেলা। প্রাচীন এই মেলা জৌলুস হারালেও সাড়ম্বরে পালিত হয় এই মেলা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *