মুর্শিদাবাদ, নিজস্ব সংবাদদাতা:- ভিন রাজ্যে ফেরিওয়ালা কাজ করে! দারিদ্রতা ও পারিবারিক কষ্ট সহ্য করে! মায়ের মায়ের অদম্য ইচ্ছে শক্তির জেরে সমস্ত প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে অজপাড়া গাঁয়ে বাস করে ডাক্তারি পরিক্ষায় নজিরবীহিন ফল করে তাক লাগিয়ে দিল মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জের মহিষাস্থলি গ্রামের মৈবুল মোমিনের ছেলে আহামেদ হাসান আনসারি।
এবছর নিট পরিক্ষায় ৫৭৩ নম্বর পেয়ে র্যাঙ্ক হয়েছে ৪৮৫৫ নিট পরীক্ষায় কৃতিত্বের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়েছেন ফেরীওয়ালার ছেলে আহামেদ হাসান আনসারি।
প্রথমবারের চেষ্টা ডাক্তারি পরিক্ষায় নজর কাড়া ফল করায় খুশি গ্রাম থেকে পাড়া সহ গোটা এলাকায় মানুষরা।
জানা গিয়েছে আহামেদ হাসান আনসারির বাবা মৈবুল ভিন রাজ্য উড়িষ্যায় পরিযায়ী হিসাবে ফেরিওয়ালার কাজ করেন। ছেলেকে ডাক্তার করার ব্রত নিয়েছিলেন। ছেলে মাধ্যমিকে ৯৬ শতাংশ নম্বর পেয়ে তাক লাগিয়ে ছিল সেই সময়ে। দিন রাত এক করে ছেলেকে ডাক্তার করার জন্য তিনি পড়ে থেকেছেন ভিন রাজ্যে।
৪ ভাইবোনের মধ্যে আহামেদ হাসান সবার বড়। সামান্য আয়ে চলা সংসারে অনেক প্রতিকূলতা ছিল, কিন্তু সেই কষ্ট কখনো লাজুক ছেলে আহামেদ হাসানের লক্ষ্যকে বিঘ্নিত না ঘটে তা জানতে দেননি মা চাইনা বিবি ও। বাবা ও মা ও দাদু দাদিমাদের অদম্য ইচ্ছেকে বাস্তব্যে পরিনত করতে নিজেকে প্রস্তুত করে আহামেদ হাসান আনসারি। সেই সব তার প্রেরণার উৎস হয়ে ওঠে।
আহামেদ হাসান জানায় মা বাবা আমাকে কখনো দারিদ্রতা কি? জিনিস তা টের পেতে দেয়নি। কিন্তু আমি জানতাম, কী পরিমাণ কষ্ট করছে মা বাবা আমার জন্য,” তাদের কষ্ট কে আমি বিফল হতে দেবো না! আমি ডাক্তার হবো এমন পণ করেই পড়াশোনা চালিয়ে গিয়েছি।
প্রতিদিন ৮ ঘণ্টা পড়াশোনা ও পড়াশোনার পাশাপাশি কোচিং নেওয়া তার পাশাপাশি খেলাধুলো চলেছে সমানে । নিজের একাগ্রতা আর পরিবারের ত্যাগ—এই দুইকে সঙ্গে নিয়ে নিট পরীক্ষায় সাফল্য অর্জন করেছ অজ পাড়া গাঁয়ের ফেরিওয়ালার ছেলে আহামেদ হাসান আনসারি ।
ডাক্তারি পরিক্ষায় নজিরবীহিন ফল করে তাক লাগিয়ে দিল মুর্শিদাবাদের সামসেরগঞ্জের মহিষাস্থলি গ্রামের মৈবুল মোমিনের ছেলে আহামেদ হাসান আনসারি।

Leave a Reply