নিজস্ব সংবাদদাতা, বালুরঘাট :- খুচরোর সঙ্কট দেখিয়ে বাকি অর্থ ফেরত না দেওয়ার অভিযোগ বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের বর্হিবিভাগ-এ থাকা কর্মীদের বিরুদ্ধে। দু-এক টাকা করে প্রতিদিন গড় হাজার টাকা উঠছে হিসেব বর্হিভূতভাবে বলেই দাবি অনেকের। এদিকে উপায়হীন হয়ে রোগী ও তাদের পরিজনরা কার্যত নিশ্চুপ। তবে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই শোরগোল পরেছে এই হাসপাতালে।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট সদর হাসপাতালে পুরনো বিল্ডিং সংলগ্ন এবং দশতলার সুপার স্পেশালিটিতে রয়েছে দুটি বর্হিবিভাগ। বেলা ৯ টা থেকে বিকেল ৪ টা পর্যন্ত রোগী পরিষেবা চলে সেখান থেকে। শিশু, মেডিসিন, যক্ষ্মা, শল্য, যৌন, চর্ম, অস্তি, সহ বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা সেখানে চিকিৎসা পরিষেবা দেন। এছাড়া বর্হিবিভাগে রয়েছে হোমিওপ্যাথি এবং আয়ুর্বেদ চিকিৎসা ব্যবস্থাও। বর্হিবিভাগে এসব পরিষেবা নিতে রোগীদের ২ টাকার বিনিময়ে টিকিট করতে হয় কাউন্টার থেকে। বালুরঘাট ও তার আশাপাশ এলাকার কয়েকশো মানুষ প্রতিদিন সেখানে পরিষেবা নিতে আসেন। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে সেই টিকিট কাটতে অনেক সময় লেগে যায়। আবার প্রতিনিয়ত সেখানে খুরচো পয়সার সমস্যা তৈরি হয়। যা নিয়ে মাঝেমধ্যেই বিশৃঙ্খলাও দেখা দেয় টিকিট কাউন্টারের সামনে। অভিযোগ, সেই সুযোগকে কাজে লাগান কাউন্টারে থাকা কর্মীরা। তারা খুচরো সঙ্কট দেখান রোগী ও তাদের পরিজনদের। ২ টাকার টিকিটের বিনিময়ে কেউ ৫ বা ১০ টাকা দিলে বাকি অর্থ ফেরত দেওয়া হচ্ছেনা বলে অভিযোগ। এভাবেই দিনে হাজার এবং মাসে ৩০ হাজার টাকা হিসেব বর্হিভূতভাবেই উঠে বলেই ধারণা অনেকের। ‘খুচরো নেই’ যুক্তিতেই দিনের পর দিন রোগী ও তাঁদের পরিজনরা বাকি টাকা ফেরত পাচ্ছেন না। রোগীর আত্মীয়দের দাবি, বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের আউটডোরে চিকিৎসা করাতে এসে নিয়ম করেই এই অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হচ্ছে তাঁদের।
খুচরোর সঙ্কট দেখিয়ে বাকি অর্থ ফেরত না দেওয়ার অভিযোগ বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের বর্হিবিভাগ-এ থাকা কর্মীদের বিরুদ্ধে।

Leave a Reply