চার বছর কেটে গিয়েছে, আর একটিবারের জন্যও এলাকায় পা রাখেননি বিধায়ক! বেহাল রাস্তা, জল-কাদা আর দুর্ভোগেই কাটছে হিলির চকবলরাম গ্রামের বাসিন্দাদের দিন।

দক্ষিণ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- চার বছর কেটে গিয়েছে, আর একটিবারের জন্যও এলাকায় পা রাখেননি বিধায়ক! বেহাল রাস্তা, জল-কাদা আর দুর্ভোগেই কাটছে হিলির চকবলরাম গ্রামের বাসিন্দাদের দিন। “দিদিকে বলো” কর্মসূচিতে অভিযোগ জানিয়েও কাজের কাজ কিছু হয়নি। শেষমেশ বাধ্য হয়েই নিজের পয়সায় ইট কিনে রাস্তা সংস্কার করেছেন গ্রামের মানুষজন।

দক্ষিণ দিনাজপুরের হিলি ব্লকের বিনশিরা গ্রাম পঞ্চায়েতের অধীনস্থ চকবলরাম এলাকা। বালুরঘাট বিধানসভার অন্তর্গত এই গ্রামের সঙ্গে সংযোগকারী একমাত্র রাস্তা তৈরি হয়েছিল ২০১১ সালে, তৎকালীন মন্ত্রী শংকর চক্রবর্তীর হাত ধরে। প্রায় ৮০০ মিটার দীর্ঘ ঢালাই রাস্তাটি তৈরি হওয়ার পর কেটে গিয়েছে এক যুগেরও বেশি সময়। তারপর থেকে মেরামতির নামগন্ধ নেই। এখন সেই রাস্তার সিমেন্ট-পাথর উঠে গিয়ে প্রায় পুরোটা মাটির রাস্তায় পরিণত হয়েছে। বর্ষায় কাদা-জলে ডুবে কার্যত চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে ওই রাস্তাটি।

তিনটি গ্রামের প্রায় এক হাজার মানুষ নির্ভর করেন এই রাস্তাটির উপর। স্থানীয় বাসিন্দা অনিল সরকার, আশীষ সরকার ও পরেশ সরকাররা বলেন, “ভোট চাইতে এসেছিলেন বিধায়ক। তারপর আর কোনওদিন তাঁকে এলাকায় দেখিনি। আমরা কোথায় যাব? কার কাছে বলব?”

রেশন ডিলার রূপম সরকার জানালেন, “দিদিকে বলোতে অভিযোগ করেছিলাম। বিডিও অফিস থেকে লোক এসেও দেখে গিয়েছেন। কিন্তু তারপর আর কিছু হয়নি।”

ক্ষোভ চেপে রাখেননি সাধারণ গ্রামবাসীরাও। সম্প্রতি রীতিমতো অর্থ সংগ্রহ করে নিজেরাই ইট কিনে রাস্তায় ফেলে কিছুটা হাল ফেরানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা।

এই প্রসঙ্গে হিলি পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি সরস্বতী সরকার মন্ডল জানান, “বিষয়টি জানা নেই। বিডিওর সঙ্গে কথা বলে খোঁজ নিয়ে দেখবেন তিনি।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *