বাবা তোমার দরবারে তে সব পাগলের খেলা – এই গানের সঙ্গে হুবহু মিল যেন আজকের বাংলার, তিন বার ঠিকানা বদলের পরেও আজও অধরা স্থায়ী আইসিডিএস সেন্টারের ঘর।

ধুপগুড়ি, নিজস্ব সংবাদদাতা:- ধুপগুড়ি মহকুমার ঝাড় আলতা ১ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের গাড়িয়ালটারি এলাকায় ২০০৭ সালে চালু হয় এই কেন্দ্রটি। তখন কেন্দ্রটির নাম দেওয়া হয় গাড়িয়ালটারি নির্মল রায় হাউস। ২০০৭ সালে অন্যের বাড়ি থেকেই পথ চলা শুরু হয় এই কেন্দ্রের। এরপর দীর্ঘ কয়েক বছর সেখানে চলার পরে স্থানীয় অপর এক বাড়িতে শুরু হয় রান্না ও পড়াশোনার কাজ। তারপর একে একে কেটে যায় আরো কিছুটা সময়। বর্তমানে স্থানীয় বাসিন্দা জগদীশ রায়ের বাড়ির উঠোনের এক প্রান্তে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে ঝোপঝাড়ের মধ্যে একটি প্লাস্টিক ছাউনি টাঙিয়ে চলছে যাবতীয় কাজ। বাধ্য হয়ে অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী খোলা আকাশেই শিশুদের পড়াশোনার পাঠ দিচ্ছেন। রান্নাবান্না থেকে খাওয়া-দাওয়া সমস্ত কিছুই চলে এই ঝোপঝাড়ের মাঝেই। যেকোনো মুহূর্তে বিভিন্ন পোকামাকড় থেকে শুরু করে রোদ বৃষ্টির মোকাবিলায় হিমশিম খেতে হয় সেন্টারের কর্মী থেকে শুরু করে সেন্টারে আসা পড়ুয়া শিশু ও অভিভাবকদের।

অভিযোগ এখনো পর্যন্ত তিন জায়গায় পরিবর্তন করা হয়েছে এই কেন্দ্রটি। এক গ্রামবাসী বাড়িতে হয় পঠন-পাঠন থেকে শিশুদের খাবার তৈরি।
অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে চলছে এই কেন্দ্রটি। অথচ এই কেন্দ্রের জন্য ছিলো বড় অংকের টাকার বরাত,সুবিশাল বিল্ডিং নির্মাণের কাজ চার বছর ধরে চলেও শেষ পর্যন্ত কাজ অসম্পূর্ণ হয়ে পড়ে রয়েছে কোন এক অজ্ঞাত কারণে ঠিকাদোর সংস্থা পালিয়ে গিয়েছি কাজ ছেড়ে। তারপর থেকেই ভরষা অন্যের বাড়ি। একটি ত্রিপল টাঙিয়ে চলছে সেন্টার। আর এতেই তুষের আগুনের মত তৃণমুল পরিচালিত রাজ্যে প্রশাসনের ওপর ক্ষোভ বাড়ছে এলাকার মানুষের । ইতোমধ্যেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন ব্লকের বিডিও সহ অন্যান্য জনপ্রতিনিধিদের সামনে।
তাতে কি ? বড় ভোট যে আসে পাঁচ বছর পর পর।

তবে এত অভিযোগের পরেও হেলদোল নেই স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে ব্লক প্রশাসনের। শিশুদের নিয়ে ন্যূনতম ভাবনা নেই স্থানীয় প্রশাসনের অভিযোগ বিরোধীদের। এদিকে অঙ্গনারী কর্মীর দাবী, একাধিকবার স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে ব্লক স্তরের প্রশাসনকে এমনকি সিডিপিও কে জানিও আজ পর্যন্ত তাদের জন্য কোন সুযোগ সুবিধা করে দেয়নি প্রশাসন। বাধ্য হয়ে এভাবেই চলছে সেন্টার। এই কেন্দ্রে রয়েছে মোট ৮১ জন শিশু। আর তাদের কথা মাথায় রেখেই সুবিশাল বিল্ডিং সহ যাবতীয় পরিকাঠামো তৈরিতে উদ্যোগী হলেও, মাঝপথেই কাজ ছেড়ে ঠিকাদার সংস্থা পালিয়ে যাওয়ায়, সুবিশাল বিল্ডিং ডিও অর্ধনির্মাণ হয়ে পড়ে রয়েছে ঝপঝাড়ের মাঝেই। এদিকে গোটা ঘটনা সম্পর্কে স্থানীয় প্রশাসন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্বের ন্যূনতম প্রয়াস নেই। প্রতিক্রিয়া মিলছে না কোন। এখন দেখার আমরা খবরের সম্প্রচার করার পরে আদতে এই কেন্দ্রটির হাল ছন্দে ফেরে কিনা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *