
নিজস্ব সংবাদদাতা, জলপাইগুড়ি :- দীর্ঘ ১৬ বছরের আইনি লড়াইয়ের পর সুবিচার পেলেন ধুপগুড়ি ইউকো ব্যাংকের প্রাক্তন চিফ ক্যাশিয়ার অচিন্ত্য বিক্রম। বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ি জেলা আদালতের অ্যাডিশনাল সেকেন্ড কোর্টের বিচারক রিন্টু সুর সমস্ত প্রমাণ ও সাক্ষ্যের ভিত্তিতে তাঁকে নির্দোষ ঘোষণা করেন।
ঘটনার সূত্রপাত ২০০৯ সালে। কর্মরত অবস্থায় অচিন্ত্য বিক্রমের বিরুদ্ধে আর্থিক তছরূপের অভিযোগ ওঠে। এরপর ধুপগুড়ি থানায় মামলা দায়ের হলে পুলিশ তাঁকে গ্রেফতার করে। কিছুদিন জেল হেফাজতে থাকার পর তিনি ব্যক্তিগত বন্ডে জামিন পান। সেই থেকে মামলাটি আদালতে বিচারাধীন ছিল।
বৃহস্পতিবারের শুনানিতে ইউকো ব্যাংকের ১০ জন সাক্ষীর বয়ান, নথিপত্র এবং উভয়পক্ষের সওয়াল–জবাব খতিয়ে দেখে আদালত স্পষ্ট জানায়, অভিযোগের পক্ষে যথেষ্ট প্রমাণ নেই। ফলে অচিন্ত্য বিক্রমকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।
রায়ের পর অচিন্ত্যবাবুর আইনজীবী রঞ্জিত বর্মন জানান, “দীর্ঘ লড়াইয়ের পর অবশেষে ন্যায়বিচার মিলল। সাধারণ মানুষ আইনের দ্বারস্থ হলে সঠিক বিচার পাওয়া সম্ভব—এই রায় তার প্রমাণ।” এই মামলায় অচিন্ত্য বিক্রমের পক্ষে তিনজন আইনজীবী লড়াই করেছেন—সিনিয়র অ্যাডভোকেট দীপক কুমার দত্ত, রঞ্জিত বর্মন ও তন্ময় দাস।
অচিন্ত্য বিক্রম বলেন, “আমার ব্যাংকের কিছু সহকর্মী এবং কিছু ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ আমাকে চক্রান্ত করে এই আর্থিক তছরূপের মামলায় ফাঁসিয়েছিল। কিন্তু বিচার ব্যবস্থার প্রতি আমার পূর্ণ আস্থা ছিল। আজ দীর্ঘ ১৬ বছর পর সুবিচার পেয়ে আমি অত্যন্ত খুশি। যদিও এই দীর্ঘ সময় আমার জীবনের অনেক বছর নষ্ট হয়েছে, তবু সঠিক বিচার পেয়েছি, এটাই আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি।”
দীর্ঘ পথচলার শেষে আদালতের এই রায়ে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেছেন অচিন্ত্য বিক্রম ও তাঁর পরিবার।












Leave a Reply