আলিপুরদুয়ার, নিজস্ব সংবাদদাতা :- আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটার এই মন্দিরে এক সময় সাধনা করেছিলেন সাধক বামাখ্যাপা। এই মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে ইতিহাস। এক সময় ফালাকাটার মুজনাই নদীর পাড়ে ঘন জঙ্গল ছিল। সেখানে বন্য পশুদের দেখা যেত সবসময়। মুজনাই নদী দিয়ে সে সময় চলত নৌকায় বাণিজ্য। এই মন্দির স্থাপিত হওয়ার পেছনে রয়েছে একটি গল্প, যা লোকমুখে বহুল প্রচলিত। মন্দির স্থাপিত হওয়ার আগে প্রতিবছর দীপান্বিতা অমাবস্যার রাতে গভীর জঙ্গল থেকে কাঁসর ঘণ্টার আওয়াজ পেতেন এলাকাবাসীরা। পরের দিন সকালে ওই এলাকায় গিয়ে এলাকার বাসিন্দারা দেখতেন দেবী কালীর মূর্তি পূজিত হয়েছেন। পুজোর সামগ্রী পরে রয়েছে। কে বা কারা পুজো করতেন তা জানতেন না কেউ।এরপর ধীরে ধীরে সেখানে বন জঙ্গল কেটে জনবসতি গড়ে উঠতে থাকে।সেখানেই এলাকাবাসীরা একটি ছোট মন্দির গড়ে পুজো শুরু করেন।এরপর মন্দিরটিকে ধীরে ধীরে বড় আকারের গড়ে তোলেন এলাকাবাসীরাই। জানা গিয়েছে, সাধক বামাখ্যাপা এই মায়ের মন্দিরে এসে ধ্যান এবং সাধনা করেছেন একসময়। বামাখ্যাপার সেই ধ্যান এবং সাধনা করার বেদীটি এখনও রয়েছে মন্দির প্রাঙ্গণে। সেটিকেও পুজো করা হয় নিত্য। তবে আধুনিকতার ছোঁয়ায় সেই পুরনো নিয়ম নীতির কোনও ভাটা পড়েনি। এখনও নিয়ম করে প্রতিদিনই পুজো হয়।
ফালাকাটার মন্দিরে সাধক বামাখ্যাপার সাধনা ও ইতিহাসের সাক্ষী বেদী।

Leave a Reply