নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর :- কালীপুজো ও দীপাবলির সময় ফানুস ওড়ানো সম্পূর্ণভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে রাজ্য পুলিশ। ফানুস থেকে ঘটতে পারে অগ্নিসংযোগ। তাই এই সক্রিয়তা বলে খবর। সেই সাথে শব্দবাজি ফাটালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে সতর্ক করেছেন কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা। বুধবার ধনধান্য অডিটোরিয়ামে কালীপুজো কমিটিগুলির সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি জানান, দুর্গাপুজোর মতো কালীপুজো ও দীপাবলিও শান্তিপূর্ণভাবে উদযাপন হবে আশা করা যায়।
রাজ্যে প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ কালীপুজো অনুষ্ঠিত হয়। বিসর্জনের দিন ধার্য করা হয়েছে ২১, ২২ ও ২৩ অক্টোবর। দমকল বিভাগের ২০১৯ সালের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী ফানুস ওড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে এবং সেই নির্দেশ পুনরায় কার্যকর করা হয়েছে।
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সিইএসসি, রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ লিমিটেড, দমকল, পূর্ত দফতর, কলকাতা পুরসভা এবং পরিবেশ দফতরের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। অনেক কালীপুজো কমিটি ফানুস নিষিদ্ধ করার দাবি জানায়, যার পরিপ্রেক্ষিতে সমস্ত থানাকে বিশেষ নজরদারির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কলকাতা পুলিশ এবং রাজ্য পুলিশ একযোগে শব্দবাজি মাটির তৈরি তুবড়ি এবং ফানুস ওড়ানো নিয়ে বেশ কিছু নির্দেশিকা জারি করেন।
প্রশাসন শব্দবাজি ও ফানুস ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করার যে নির্দেশ দিয়েছেন। সেই নির্দেশ উপেক্ষা করেই চন্দ্রকোনারোডে দেদার বিক্রি হল ফানুস থেকে শুরু করে নিষিদ্ধ শব্দবাজি, বিক্রি হয়েছে মাটির তৈরি নিষিদ্ধ তুবড়িও। এদিন আকাশে দেখা গেছে ফানুসও। যত রাত বেড়েছে তত বেড়েছে শব্দবাজিরও দাপট। বেড়েছে সুরা বিক্রির পরিমাণও চন্দ্রকোনা রোড ও গড়বেতা সহ তৎসঙ্গগুলো কোন এলাকায় এদিন সাড়ে ছয় কোটি টাকার শুধুমাত্র দুই দিনে কালীপুজো উপলক্ষ্যে মদ বিক্রি হয়েছে বলে খবর। তবে মধ্যপ অবস্থায় রাস্তায় বেয়াদপি কিংবা মাতলামি করার জন্য প্রথম থেকেই কড়া ছিল পুলিশ প্রশাসন। বিভিন্ন জায়গায় পুলিশি টহল ও ধরপাকড় করা হয়। কড়া নজরদারি রাখা হয় এলাকায়। এদিন পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি সক্রিয় ছিল দমকল বিভাগ এবং আবগারি দপ্তর। সেই সাথে রাস্তায় দেখা যায় বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের কর্মীদেরও।
প্রশাসনের কড়া মনোভাবের পরেও বন্ধ হলো না শব্দবাজি থেকে শুরু করে নিষিদ্ধ ফানুস। এখান থেকে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে প্রশাসনিক সদিচ্ছা এবং নির্দেশের বাস্তবায়ন ও সক্রিয়তা ঘিরে।
Leave a Reply