নন্দীগ্রামে নিজের বাড়িতে ফিরলেন কেরলে মৃতশ্রমিক।

নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর :- নির্মাণ কাজ চলাকালীন দুর্ঘটনায় কেরলে মৃত্যু হল নন্দীগ্রামের পরিযায়ী শ্রমিক ভীমচরণ বারিক (৪৬)। তাঁর বাড়ি নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের বিরুলিয়া গ্রামে। বুধবার রাতে ওই ঘটনার পর তৃণমূলের কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে দেহ কেরল থেকে বিমানে কলকাতায় আনা হয়। শুক্রবার দলের রাজ্য মুখপাত্র দেবাংশু ভট্টাচার্য এবং জেলা নেতৃত্ব নিহত ওই পরিযায়ী শ্রমিকের দেহ নিয়ে বিরুলিয়ায় যান। ওই শ্রমিকের পরিবার কান্নায় ভেঙে পড়েন। আশপাশ এলাকা থেকে প্রচুর লোকজন জড়ো হন। শাসক দলের পক্ষ থেকে ওই পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাস দেওয়া হয়। এদিন দু’লক্ষ টাকা অনুদানও দেওয়া হয়।
জানা গিয়েছে, বুধবার কেরলে নির্মাণকাজ চলাকালীন মশলা ভরা পাত্র ঘাড়ের উপর পড়ে মৃত্যু হয় ভীমচরণবাবুর। ঘটনার পরই তৃণমূলের পক্ষ থেকে দেহ ফেরানোর তোড়জোড় শুরু হয়। শুক্রবার দুপুর নাগাদ দেহ কলকাতায় পৌঁছয়। তারপর সেখান থেকে নন্দীগ্রামে নিয়ে আসা হয়। মৃতদেহের সঙ্গে ছিলেন দেবাংশু ভট্টাচার্য, জেলা তৃণমূল সভাপতি সুজিত রায় সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। এদিন দেহ বাড়িতে আনার পর পরিবারের লোকজন কান্নায় ভেঙে পড়েন। মৃত শ্রমিকের বাড়িতে বৃদ্ধা মা, স্ত্রী, দুই ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে। দুই ছেলের একজন মাধ্যমিক এবং অপরজন উচ্চ মাধ্যমিক পাস। তাদের যেকোনও একজনের কাজের ব্যবস্থার জন্য এদিন পরিবারের পক্ষ থেকে আর্জি জানানো হয়।
মৃত ভীমচরণবাবু বিরুলিয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপির প্রধান মৈত্রী দাস গুড়িয়ার বুথের ভোটার ছিলেন। নন্দীগ্রাম-২ পঞ্চায়েত সমিতিও বিজেপির দখলে। এছাড়া, বিধানসভা এবং লোকসভা থেকেও জয়ী হয়েছে বিজেপি। পদ্মের খাসতালুকে শাসক দলের পক্ষ থেকে ওই পরিযায়ী শ্রমিকের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর সবরকম প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। মৃতের বাড়িতে তৃণমূলের নন্দীগ্রাম-২ ব্লক সভাপতি সুনীল জানা সহ স্থানীয় নেতৃত্বও উপস্থিত ছিলেন।
বিজেপির জেলা সহ সভাপতি প্রলয় পাল বলেন, আমরা শোকার্ত পরিবারের পাশে আছি। এরাজ্যে কাজ নেই বলেই দলে দলে বাংলার মানুষ পরিযায়ী শ্রমিক হচ্ছেন।
জেলা তৃণমূল সভাপতি সুজিতবাবু বলেন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ভীমচরণবাবুর দেহ কেরল থেকে ফেরানো হয়েছে। আগামী দিনে দল এই পরিবারের পাশে থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *