
নিজস্ব সংবাদদাতা, পশ্চিম মেদিনীপুর :- পরকীয়ায় জড়িত সন্দেহে ঘুমন্ত অবস্থায় হাসুয়া দিয়ে স্ত্রীকে কোপাল স্বামী। মৃত্যু নিশ্চিত করতে শাবল দিয়ে আঘাত করা হয়। নন্দীগ্রাম-২ ব্লকের খোদামবাড়ি-২ পঞ্চায়েতের জয়নপুর গ্রামের ওই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। সঙ্কটজনক অবস্থায় ৩৮ বছরের ওই গৃহবধূ তমলুক শহরের একটি নার্সিংহোমে চিকিৎসাধীন। ঘটনার পর তাঁর স্বামী শেখ নজু পলাতক। এনিয়ে নন্দীগ্রাম থানায় এফআইআর করা হয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির দুই ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে। মেয়ের বিয়েও হয়ে গিয়েছে। এক ছেলে কর্মসূত্রে হায়দরাবাদে থাকেন। স্ত্রী পরকীয়া সম্পর্কে লিপ্ত বলে সন্দেহ করত শেখ নজু। এনিয়ে বাড়িতে প্রায়ই অশান্তি হতো। পঞ্চায়েতের মাধ্যমে বহুবার সালিশি হয়েছে। পাড়া প্রতিবেশীরাও নজুকে এরকম সন্দেহ না করার পরামর্শ দিতেন। ওই গৃহবধূ কোনও সম্পর্কে জড়িত নন বলে বার বার স্বামীকে বোঝানোর পরও নজু স্ত্রীর কথায় বিশ্বাস করত না।
মঙ্গলবার রাতে ঘুমিয়ে থাকার সময় আচমকা হাসুয়া দিয়ে স্ত্রীর ডান চোখের নীচে কোপ মারে নজু। তারপর হাসুয়া ফেলে শাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করে। যন্ত্রণায় চিৎকার করে ওঠেন ওই গৃহবধূ।
তাঁর চিৎকারে পাড়া প্রতিবেশীরা চলে এলে দৌড়ে পালিয়ে যায় নজু। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই গৃহবধূকে রেয়াপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে তমলুক মেডিকেল হাসপাতালে রেফার করা হয়। কিন্তু, ঠিকমতো চিকিৎসা হচ্ছে না অভিযোগ তুলে বাড়ির লোকজন তমলুক শহরের একটি নার্সিংহোমে তাঁকে ভর্তি করেন। বর্তমানে তিনি সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ওই দম্পতির ছেলে শেখ আলমিন বলেন, আমি কাজের সূত্রে হায়দরাবাদে থাকি। বিষয়টি জানার পর বাড়ি ফিরে এসেছি। আমরা ছোট থেকেই দেখছি, মাকে সন্দেহ করে বাবা। এনিয়ে অশান্তি হতো।। বহুবার সালিশি সভা হয়েছে। কিন্তু, এই সমস্যার সমাধান হয়নি। অথচ বাবা তার সন্দেহের সপক্ষে কোনও প্রমাণও দেখাতে পারেনি। ঘুমিয়ে থাকার সময় মাকে কোপ মারে। শাবল দিয়ে আঘাতও করা হয়।
নন্দীগ্রাম থানার পুলিশ জানিয়েছে, পরকীয়া সম্পর্ক নিয়ে সন্দেহই ওই ঘটনা ঘটেছে বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে। অভিযুক্তের খোঁজে তল্লাশি চলছে।












Leave a Reply