
মালদা, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ — শহরের এক নামিদামি দোকান থেকে ভুল করে বড়দের কাশির সিরাপ সাত মাসের শিশুকে দেওয়ার অভিযোগ পরিবারের, আর তা খাইয়েই গুরুতর অসুস্থ শিশু, আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি বেসরকারি নার্সিংহোমে। ডাক্তার রাম প্রকাশ সাহার কাছে ডাক্তার দেখানোর পর মালদা শহরের গাজোল ট্যাক্সি স্ট্যান্ড এলাকায় অবস্থিত ব্লুক্রস নামকরা দোকান থেকে গত ২৫শে অক্টোবর ওষুধ কিনে তা খাওয়ানোর পর শিশুর শারীরিক অবস্থা আস্তে আস্তে অবনতি শুরু হয় বলে পরিবারের অভিযোগ, তারপর দুদিন ধরে সেই ওষুধ খাওয়ানোর পর সোমবার সকালে শিশুর অবস্থা গুরুতর অবনতি হলে অসুস্থ শিশুকে শহরের এক নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয়। এই ঘটনায় সোমবার রাত্রে অসুস্থ শিশুর আত্মীয় সজনরা আতঙ্কিত হয়ে ওই ওষুধের দোকানে সামনে সাময়িক উত্তেজিত হয়ে পড়ে, ঘটনায় দোকানে ভিড় জমান আশপাশের লোকজন। খবর পেয়ে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি সামাল দেয়।
জানা গিয়েছে, ইংরেজবাজার শহরের আনধারু পাড়ার বাসিন্দা চম্পক ঘোষের সাত মাসের শিশু কাশি সহ শারীরিক অসুস্থ হলে তাকে চিকিৎসক রাম প্রকাশ সাহার কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। শিশুটিকে দেখার পর তিনি বেশ কিছু ওষুধ লিখে দেন। ডাক্তারের লিখে দেওয়া প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী বাড়ির লোকজন ২৫শে অক্টোবর গাজোল ট্যাক্সি স্ট্যান্ডের কাছের দোকান থেকে ওষুধ কিনে নিয়ে গিয়ে শিশুটিকে খাওয়ান। কিন্তু সোমবার শিশুটি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে আশঙ্কা জনক অবস্থায় তাকে শহরের এক নার্সিংহোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার চিকিৎসক জানান, শিশুটিকে যে ওষুধ খাওয়ানো হয়েছে তা বড়দের। এরপরেই বাড়ির লোকজন দোকানে হাজির হয়ে বচসা শুরু করে দেন। আর এতেই তৈরি হয় উত্তেজনা। সাধারণ মানুষের অভিযোগ একটি নামি দোকান থেকে যেভাবে ভুল ওষুধ দেওয়া হয়েছে তাতে তারা আতঙ্কিত। এই ঘটনা প্রশাসনের গুরুত্ব দিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
ঘটনার বিষয় নিয়ে ঔষুধের দোকানের ম্যানেজারের কাছে সংবাদ মাধ্যমের প্রতিনিধিরা জানতে চাইলে তিনি দোকান থেকে ওষুধ ভুল দেওয়া হয়নি বলে আস্তে আস্তে বেরিয়ে পালিয়ে যান। খবর পেয়ে ইংরেজবাজার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে দোকানদার এবং পরিবারের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।












Leave a Reply