কাঁটা বাঁধে রাস্তাহীন দুর্ভোগ! জলভরা অঞ্চলে জলের ড্রাম দিয়ে ভাসমান রাস্তা বানালেন যুবকেরা।

মালদা, নিজস্ব সংবাদদাতাঃ- প্রশাসনের বারংবার আশ্বাসের পরেও কাঁটা বাঁধ এলাকায় যোগাযোগ ব্যবস্থার জন্য তৈরি হয়নি রাস্তা। স্থানীয় বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েত নিরব ভূমিকায় গত কয়েক মাস ধরে।
অবশেষে এলাকার মানুষের কষ্ট কিছুটা দূর করতে কাঁটা বাঁধ এলাকায় জলের ড্রাম ভাসমান রাস্তা তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করল এলাকার কিছু যুবক ও সাধারণ মানুষ। দলবল নির্বিশেষে সকলের সহযোগিতায় এই ভাসমান অস্থায়ী রাস্তা তৈরি হচ্ছে বলে দাবি এলাকার যুবকের।
উল্লেখ্য চলতি বছরের ১৩ই আগস্ট মালদা জেলার মানিকচক ব্লকের দক্ষিণ চন্ডিপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কাঁটা বাঁধ এলাকায় নবনির্মিত রিং বাঁধ ভেঙে কয়েকদিনের জন্য প্লাবিত হয় ভূতনি থানার অন্তর্গত তিনটি গ্রাম পঞ্চায়েতের একাধিক গ্রাম। এই বন্যায় নাই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় গোটা ভূতনিজুড়ে। গত ১৩ আগস্ট থেকে দক্ষিণ চন্ডিপুর ও হীরানন্দপুর এর কয়েক হাজার মানুষ নৌকা দিয়ে যাতায়াত করে এই ভাঙ্গা বাঁধের অংশ দিয়ে।
নৌকায় অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে প্রত্যেকদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে হাজার হাজার মানুষ নৌকা পারাপার করে নিত্যদিনের কাজে যাতায়াত করেন। বারবার সেচ দপ্তরের আধিকারিকরা এই ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করে গেলেও এখন পর্যন্ত কোন কাজ হয়নি। স্থায়ীভাবে কাঁটা বাঁধ এলাকায় লকেট ও ভাঙ্গা বাঁধ কোন নির্মাণের দাবি তুলেছে সাধারণ মানুষজন।
অথচ বন্যার সময় সেচ দপ্তরের তরফে বালির বস্তা দিয়ে এই এলাকায় কাজ করা হচ্ছিল কিন্তু এখন কোন কিছু করা হচ্ছে না।
স্থানীয় বিজেপি পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতে বিষয়টি জানালে তারা কোনরকম পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে জানা যায়।
অবশেষে গত কয়েকদিন ধরে এই এলাকাতে দক্ষিণ চন্ডিপুরে একদল যুবক এলাকাবাসীর সহযোগিতায় নিয়ে জলের ড্রাম দিয়ে প্রায় 50 মিটার অস্থায়ী রাস্তার তৈরি করার উদ্যোগ গ্রহণ করে। কয়েক দিনের প্রচেষ্টায় প্রায় 2 লক্ষ টাকা খরচ করে এই রাস্তা তৈরি হচ্ছে। প্রশাসন ও স্থানীয় পঞ্চায়েত নিরব তাই এমন উদ্যোগ গ্রহণ করতে হয়েছে। তৈরি করা হলো কিন্তু স্থায়ীভাবে আমরা এই এলাকায় সমাধান চাই।
যুবকদের এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছে ভূতনীর সাধারণ মানুষজন।
অন্যদিকে এই ঘটনা সামনে আসতেই বিজেপি তৃণমূল একে অপরের বিরুদ্ধে কটাক্ষ করেছে।
ভূতনিবাসীর দাবি রাজ্য ও কেন্দ্রীয় সরকার দ্রুত যাতে ভূতনীর বন্যা পরিস্থিতির উপর পদক্ষেপ গ্রহণ করে স্থায়ীভাবে ভূতনির নদী ভাঙ্গন সমস্যার সমাধান করুক।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *