মাত্র ১১ দিনের মধ্যে ভরতগড়ে খুনের মূল অভিযুক্ত পুলিশের জালে।

সুভাষ চন্দ্র দাশ,ক্যানিং – বড় ধরনের সাফল্য পেলো বারুইপুর জেলা পুলিশের অধিনস্ত ক্যানিং থানার পুলিশ।বাসন্তী ব্লকের ভরতগড় এলাকায় তৃণমূল কর্মী জানে আলম গাজী খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মনিরুল মোল্লা কে মাত্র ১১ দিনের মধ্যে গ্রেফতার করলো পুলিশ।বৃহষ্পতিবার গভীর রাতে ক্যানিং থানার পুলিশ গ্রেফতার করে মনিরুল কে।
এদিন গভীর রাতে রাতে ক্যানিং থানার পুলিশ ক্যানিং-বারুইপুর রোডের ধলিরবাটি মোড়ে নাকা তল্লাশি করছিলো। সেই সময়ে বাইক চালিয়ে কলকাতার দিকে পালিয়ে যাচ্ছিল মনিরুল।সন্দেহজনক হওয়ায় পুলিশ তার পথ আটকায়। শুরু হয় জিঞ্জাসাবাদ। জিঞ্জাসাবাদের কয়েক মিনিটের মধ্যে মনিরুল কে চিনতে পারে পুলিশ। আর এক মুহূর্ত দেরী না করে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। পরে বাসন্তী থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।পুলিশ সুত্রের খবর বাসন্তীর ভরতগড়ে তৃণমূল কর্মী খুনের অভিযোগে জড়িত মূল অভিযুক্ত কে গ্রফতার করা হয়েছে। শুক্রবার আদালতে তোলা হবে এবং পুলিশ হেফাজত চেয়ে আবেদন জানানো হবে।
উল্লেখ্য গত ২০ আগষ্ট বাসন্তী ব্লকের ভরতগড় গ্রাম পঞ্চায়েতের ৪ নম্বর আনন্দাবাদ গ্রামের তালতলা এলাকায় প্রকাশ্য দিবালোকে দুষ্কৃতিদের হাতে খুন হয় তৃণমূল কর্মী জানে আলম গাজী।এরপর মূল অভিযুক্ত সহ অন্যান্যরা পালিয়ে বেড়াচ্ছিলো।খুনের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে ওই দিনই ৯ জন কে গ্রেফতার করে পুলিশ।যদিও মূল অভিযুক্ত পালিয়ে বেড়াচ্ছিলো।খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত বৃহষ্পতিবার রাতে ধরা পড়ায় আপাতত স্বঃস্তি ফিরলো পুলিশের।
অন্যদিকে জানে আলম মোল্লা খুনের ঘটনায় জড়িত মূল অভিযুক্ত মনিরুল ধরা পড়ায় মৃত তৃণমূল কর্মীর পরিবারের লোকজন পুলিশের ভূমিকায় খুশি।
মৃতের স্ত্রী রশিদা গাজী জানিয়েছে ‘নৃশংস ভাবে আমার স্বামী কে দুষ্কৃতিরা যে ভাবে খুন করেছে,অভিযুক্তদের যেনো কঠোরতম শাস্তি হয়।
অন্যদিকে স্থানীয় তৃণমূল নেতা জাকির হোসেন মোল্লা জানিয়েছেন ‘ভরতগড় এলাকায় দুষ্কৃতিরাজ চলছিল।দুষ্কৃতিরা পুলিশের হাতে ধরা পড়ায় এলাকায় শান্তির বাতাবরণ তৈরী হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *