সিভিক ভলেন্টিয়ার কে শিশু বিক্রিকরতে অস্বীকার করায় শেষমেষ চাইল্ড লাইনের হাতে শিশু।

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাঁকুড়াঃ গতকাল শুক্রবার বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের হিজলডিহা ক্যানেল পাড় থেকে শিশু উদ্ধারের ঘটনায় নয়া মোর। জয়পুর থানার সেভিক ভলেন্টিয়ার ৮০ হাজার টাকায় শিশু কিনতে যায় এমনই অভিযোগ তুললো গ্রামবাসীরা। তবে শিশু উদ্ধারের ঘটনা কোন জয়পুর জঙ্গলের ঘটনা নয়। বর্ধমানের ডাক্তার দেখাতে গিয়ে কোন শৌচাগার থেকে উদ্ধার করা ঘটনা। ঘটনা হিজলডিহা ক্যানেল পারের। ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফেরার পথে, হিজলডিহা ক্যানেল পাড়ে গিয়ে পৌঁছাতেই বাচ্চার কান্না শুনতে পান তারপরেই ওই শিশু উদ্ধার করেন আকবর আলি ভাঙ্গি নামে এক ব্যক্তি। ওই বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে যায়, ওই শিশুটি ক্যানেলের ঝোপে পড়ে থাকায় ব্যাপক পিঁপড়ে তে আক্রমণ করে তাকে। ওই শিশু টিকে চিকিৎসা করানোর জন্য চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যায় জগন্নাথপুরে। আর তারপরেই ওই শিশুটিকে টাকার বিনিময় কেনার জন্য বিভিন্ন মানুষ বাড়িতে আনাগোনা করতে থাকে। কিন্তু না দেওয়াই শেষমেশ এক সিভিক ভলেন্টিয়ার বাড়িতে আসেন এবং এক লক্ষ টাকায় বিক্রয় করে দিতে বলেন। এই শিশুটিকে বিক্রয় করতে না চাওয়ায় খবর দেয়া হয় জয়পুর থানায় জয়পুর থানার পুলিশ ও চার লাইনকে। সকাল থেকেই ওই গ্রামটি ঘিরে রাখে জয়পুর থানার পুলিশ, ততক্ষণে আরো শরীর খারাপ হতে থাকে ওই শিশুটির। আকবর আলি ভাঙ্গি তখন বিষ্ণুপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে কিন্তু জয়পুর থানার পুলিশ ও জয়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক না আসা পর্যন্ত বাড়ির বাইরে যেতে দেয়া হবে না বলেই জানান স্থানীয় সিভিক ভলেন্টিয়ারেরা। ততক্ষণে শিশুটির শারীরিক অবস্থা আরো খারাপ হতে থাকে শেষমেষ বেলা তিনটার পর জয়পুর থানার এক আধিকারিক ওই এলাকায় গিয়ে পৌঁছায় তারপর আকবর আলী ভাঙ্গি ও তার বাড়ির লোক গাড়ি ভাড়া করে বিষ্ণুপুর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায় সেখানে জয়পুর থানার পুলিশ গিয়ে পৌঁছায় এবং ওই শিশুটিকে জয়পুর থানার পুলিশ চাইল্ড লাইনের হাতে তুলে দেয় ওখানে চিকিৎসা করার পর চিকিৎসকেরা অবস্থার অবনতি দেখে বাঁকুড়া নিয়ে যায়। এখন ওই শিশুটি বাঁকুড়াতেই রয়েছে বলেই জানতে পারা যায়। তবে আকবর আলি ভাঙ্গি, যিনি এই শিশুটিকে ক্যানেল পার থেকে কুড়িয়ে ফুটপুটে শিশুটির প্রাণ বাঁচিয়েছিলেন সেই শিশুটিকে পুনরায় আবার কাছে রাখার জন্য এবং মানুষ করার জন্য ক্যামেরার মুখোমুখি হয়ে আবেদন করেন এবং প্রশাসনের কাছেও তিনি আবেদন করেন। তবে ওই শিশুটি পাওয়ার কোন আশা নেই এমনটাই জানান আধিকারিকেরা। কি বলছেন গ্রামবাসীরা কি বলছেন আকবর আলী ভাঙ্গি, শোনাবো আপনাদের।।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *