কোচবিহার, নিজস্ব সংবাদদাতা: দিদির সুরক্ষা কবচ কর্মসূচীতে মাঝেও রক্ষা হচ্ছে না ঘাসফুল শিবির। দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগে তুলে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ অঞ্চলের সহ সভাপতি সহ ৫১টি পরিবার। ঘটনাটি ঘটেছে কোচবিহার জেলার তুফানগঞ্জ ১ নম্বর ব্লকের ধলপল ১ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। এদিন তৃণমূলের অঞ্চল সহ সভাপতি বিশ্বজিৎ দে সহ ৫১টি পরিবারের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন তুফানগঞ্জের বিজেপি বিধায়িকা মালতী রাভা রায়।
তৃণমূলের অঞ্চল সহ সভাপতি বিশ্বজিৎ দে-র অভিযোগ,আমি এলাকায় সবাইকে নিয়ে চলতে চাই। কিন্তু তৃণমূলে সেই পরিস্থিতি নেই। কাজ করতে গেলে বিভিন্ন বাঁধার মুখে পড়তে হয়। তাই আমি সেখানে কাজ করতে না পেরে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলাম। কারণ আমি আমার স্বার্থে কখন দল করি নি আগামীতেও করবো না। দলের মধ্যে এতটাই গোষ্ঠী কোন্দল যা নিয়ে কোন ভালোমানুষ কাজ করতে পারবে না। তাই বাধ্য হয়ে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করলাম। এখন থেকে বিজেপির হয়ে এলাকায় কাজ কর্ম করবো।

এদিন এবিষয়ে তুফানগঞ্জ বিধানসভার বিজেপি বিধায়িকা মালতী রাভা রায় জানান,,নীতি ভ্রুষ্ট একটি দলে কোন ভালো মানুষ থাকতে পাড়ে না। উনি নিজেই বলেছেন আগে বিজেপিতে ছিলেন তিনি, চাপে পড়ে বা ভুল বোঝাবুঝির কারণে তিনি তৃণমূলে গিয়েছেন। আবার তিনি নীতি ভ্রুষ্ট দল, যে দলের কোন আদর্শ নেই, নীতি নেই, সেই দলে থাকতে পারছেন না। কারণ বিগত পঞ্চায়েতে তৃণমূল যে দুর্নীতি করেছে বা সন্ত্রাস করেছে তার প্রতিবাদে ধলপল অঞ্চলে ২৩ এর পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপিকে জয়ী করতে তৃণমূলের অঞ্চল সহ সভাপতি বিশ্বজিৎ দে সহ ৫১টি পরিবার বিজেপিতে যোগদান করেন। তাতে এই অঞ্চল বিজেপির আরও শক্তি বৃদ্ধি হলো বলে জানান বিধায়িকা মালতি রাভা রায়।
এ বিষয়ে তুফানগঞ্জ ১ এর বি তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ বসাক জানান, ঘটনাটি খুবই দুঃখজনক ব্যাপার। কিছুদিন আগেই উনি নতুন সহ-সভাপতি দায়িত্ব পেলেন। বিশ্বজিৎ দে আমাকে অনেকবার বলেছিল সে ধলপল অঞ্চলে কোন রাজনৈতিক গুরুত্ব পাচ্ছে না। এ বিষয়ে বারংবার অঞ্চল সভাপতির সাথে আমি কথা বলেছি। কিন্তু অঞ্চল সভাপতি আমার কথায় কোন গুরুত্ব দেয়নি।
Leave a Reply