পশ্চিম মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- সরকারি নিয়মের তোয়াক্কা না করে, আইনকে ফাঁকি দিয়ে প্রশাসনের নজর এড়িয়ে হচ্ছিল ১৬ বছর বয়সি এক মেয়ের বিয়ে! আর সেই খবর পাওয়া মাত্র ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কন্যাশ্রী ক্লাব! নাবালিকার বাড়িতে পৌঁছে বিয়ে বন্ধ করে দেয় পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুরের গোলাড় সুশীলা বিদ্যাপীঠয়ের কন্যাশ্রী ক্লাবের সদস্যরা। মুখ্যমন্ত্রী বারবার প্রশাসনিক সভা থেকে নাবালিকা মেয়ের বিয়ের বন্ধ করার নির্দেশ দিচ্ছেন। তারপরেও সাধারণ মানুষ সেই নির্দেশ না মেনেই ১৮ বছরের আগেই মেয়ের বিয়ে দিয়ে দিচ্ছেন চুপিসারে। শুক্রবার রাত্রি সাড়ে আটটার সময় কেশপুর ব্লকের চার নম্বর গোলার গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত ধর্মপুর গ্রামে শেখ মতিবুল আলীর মেয়ের ১৮ বছর বয়সের আগেই বিয়ে দিচ্ছিল মুখবাসন গ্রামে। আর সেই খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কন্যাশ্রী ক্লাব। খবর দেওয়া হয় কেশপুর থানা ও বিডি অফিসে। কেশপুরের জয়েন বিডিওর নেতৃত্বে কেশপুর থানার পুলিশ সহ একটি টিম পৌঁছায় ঘটনাস্থলে। পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা নিয়েই কন্যাশ্রী ক্লাব তাদের সহপাঠীর বিয়ে আটকায়। প্রশাসনের পক্ষ থেকে পরিবারের কাছে মুচলেখা নেওয়া হয় যাতে ১৮ বছর আগে কোনোভাবেই মেয়ের বিয়ে না দেন। প্রথমে পরিবার মানতে না চাইলেও সে সে কার্যত স্বীকার করে নেয় তারা লুকিয়েই দিয়ে দিচ্ছিল মেয়ের। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে বারবার মানুষকে সচেতন করার পরেও কিভাবে এই ধরনের কাজ হয়। তবে গোলাড় সুশীলা বিদ্যাপীঠের কন্যাশ্রী ক্লাব বারবার রুখে দিয়েছে নাবালিকার বিয়ে। এই কন্যাশ্রী ক্লাবের প্রশংসা করেছে এলাকার সকলেই।
আবার নাবালিকার বিয়ে রুখে দিল গোলাড় কন্যাশ্রী ক্লাব!

Leave a Reply