বাংলা পরীক্ষার ১০টি খাতা এখনও জমা না পড়ায় স্নাতক স্তরের তৃতীয় সেমিস্টারের ফল প্রকাশ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বলে দাবি গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের।

নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা:—-এক কলেজ শিক্ষকের কাছ থেকে বাংলা পরীক্ষার ১০টি খাতা এখনও জমা না পড়ায় স্নাতক স্তরের তৃতীয় সেমিস্টারের ফল প্রকাশ অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে বলে দাবি গৌড়বঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কন্ট্রোলার অফ এক্সামিনেশন বিশ্বরূপ সরকার বলেন, সাউথ মালদা কলেজের বাংলা শিক্ষক ওই পরীক্ষার মূল্যায়নের জন্য দেওয়া ১০টি খাতা কম জমা দিয়েছেন। তাই ফল প্রকাশে বিঘ্ন ঘটতে পারে। বিষয়টি তিনি উপাচার্য ও পুলিশকেও জানিয়েছেন বলে এদিন দাবি করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই আধিকারিক। উল্লেখ করা যেতে পারে, যে কলেজ শিক্ষকের কাছ থেকে ১০টি খাতা এখনও পাওয়া যায়নি বলে দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয়, সেই কলেজ শিক্ষক ২৪ মার্চ তাঁকে প্রাণে মেরে ফেলার চেষ্টার অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষক সহ চারজনের বিরুদ্ধে। এদিন কন্ট্রোলার অফ এক্সামিনেশনের বক্তব্যের পরে ওই ঘটনা নতুন দিকে মোড় নিল বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিন বিশ্বরূপ সরকার বলেন, ওই কলেজ শিক্ষক তাঁকে মূল্যায়নের জন্য দেওয়া খাতাগুলির মধ্যে ১০টি খাতা জমা দেননি। ফলে আগামী সোমবারে স্নাতক স্তরের তৃতীয় সেমিস্টারের ফল প্রকাশের কথা থাকলেও আপাতত সেটা সম্ভব হবেনা বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। আমরা বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানোর পাশাপাশি ইংলিশবাজার থানাতেও জানিয়েছি। সব খাতা জমা না পড়লে নির্ধারিত সময়ে ফল প্রকাশে বিলম্ব হবে বলেই আমাদের আশঙ্কা। তাতে ৩১ হাজার পড়ুয়ার ফল জানতে দেরি হতে পারে। শেষ পর্যন্ত ওই ১০টি খাতা না পাওয়া গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সিকিউটিভ কাউন্সিল পরবর্তী বৈঠকে কী সিদ্ধান্ত নেন তার জন্য আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।
তবে যে শিক্ষক সব খাতা জমা দেননি বলে এদিন বিশ্ববিদ্যালয় দাবি করেছে, সেই সাউথ মালদা কলেজের বাংলা শিক্ষক সৌগত বাগচী বলেন, পরীক্ষা নিয়ামক এদিন ঠিক কী বলেছেন তা আমার জানা নেই। তবে আমি খাতা জমা দেওয়ার পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছ থেকে প্রাপ্তিস্বীকারের লিখিত কাগজ নিয়েছি। সব জেনেই এই বিষয়ে বিস্তারিত মন্তব্য করতে পারব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *