সদ্যজাত শিশুর দেহ কবরস্থ করতে গিয়ে চমকে উঠলেন পরিবারের সদস্যরা। শিশুটির শরীরে তখনো প্রাণ রয়েছে। জীবিত সদ্যজাতকে মৃত ঘোষণা করে পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। ঘটনাটি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার ঘাটাল সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের।

পশ্চিম মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, সদ্যজাত জিবীত শিশুকে মৃত বলে ঘোষনা করে ডেথ সার্টিফিকেট দিয়ে পরিবারের হাতে তুলে দিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শিশুটির শেষকৃত্য করতে গিয়ে দেখা যায় শিশুটি কাঁদছে। জিবীত রয়েছে এবং শ্বাষ চলছে শিশুটির। তড়িঘড়ি সেই শিশুকে পুণরায় নিয়ে আসা হয় ঘাটাল হাসপাতেলে।ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া সেই জীবিত শিশুটিকে পুনরায় ভর্তি নিয়ে চিকিৎসা শুরু করেন চিকিৎসক।এমনি নজির বিহীন ঘটনা ঘাটাল মহকুমা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের।এই ঘটনায় চিকিৎসকের নজিরবিহীন শাস্তির দাবী তুলে সরব হয়েছেন শিশুটির পরিবার।এমন ঘটনা এরাজ্যে কার্যত নজিরবিহীন।এই ঘটনায় সরকারি চিকিৎসার গাফিলতি নিয়ে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করতে চান ওই পরিবার।
জানা গিয়েছে গত শনিবার অর্থাৎ ৭ই এপ্রিল ভোরে প্রসব যন্ত্রনা নিয়ে ঘাটাল হাসপাতালে ভর্তি হন মোনালিশা খাতুন নামে রসকুন্ডুর এক গৃহবধূ। দুপুর ২টো নাগাদ তিনি একটি পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। যদিও সেই শিশুটি সময়ের অনেক আগেই হয়েছে বলে দাবি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের। বিকেল ৫ টা নাগাদ শিশুটির পরিবারকে জানিয়ে দেওয়া হয় ওই শিশুটি মারা গেছে। মাথায় মৃত স্ট্যাম্প দিয়ে ডেথ সার্টিফিকেট দিয়ে প্যাকিং করে রাত ৯ টা নাগাদ শিশুটিকে মৃত বলে পরিবারের হাতে তুলে দেন চিকিৎসক। পরে বাড়ি ফিরে শিশুটিকে কবরস্ত করতে গিয়ে সকলেই দেখেন শিশুটি জীবিত, শ্বাষ প্র-শ্বাষ চলছে, এমনকি দিব্বি কাঁদছে ওই শিশু। তড়িঘড়ি ফের নিয়ে আসা হয় হাসপাতলে। ডেথ সার্টিফিকেট দেওয়া শিশুটিকে ফের আই.সি.ইউ তে ভর্তি করে চিকিৎসা শুরু করা হয় শিশুটির।
সরকারি চিকিৎসা পরিষেবার এই অবস্থার কাহিনীতে তাজ্জব ঘাটালবাসি। চিকিৎসকের উপযুক্ত শাস্তির দাবি তুলেছে শিশুটির পরিবার।খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে যায় ঘাটাল থানার পুলিশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *