দক্ষিণ দিনাজপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:- রশিদপুর হাসপাতাল চত্বরে এক ভবঘুরের মৃত দেহ উদ্ধার কে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে বংশীহারী ব্লকের দাসুল, চন্ডিপুর গ্রামের বাসিন্দা বছর একান্নর আনন্দ চক্রবর্তী বহু বছর ধরে ভবঘুর জীবন যাপন করতেন। পরিবারে এক পুত্র ও কন্যা সন্তান সহ স্ত্রী রয়েছে তার। পরিবারের দাবি বহু বছর আগেই খানিকটা মানসিক ভারসাম্যহীন ও নেশাগ্রস্ত হওয়ার কারণে বাড়ি ও ঘর সংসার ত্যাগ করেন ওই ব্যক্তি। এইদিন সকালে তার মৃতদেহ দেখতে পাওয়া যায় রশিদপুর গ্রামীণ হাসপাতাল চত্বরে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি বেশ কিছুদিন ধরে হাসপাতাল চত্বরেই দিন যাপন করছিলেন ঐ ব্যক্তি। অসুস্থতার কারণেই ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে কিনা বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়। এইদিন পুলিশ দেহ সনাক্ত করার পর ময়নাতদন্তের জন্য বালুরঘাট মর্গে পাঠায়। বংশীহারী থানার পুলিশ সম্পূর্ণ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
মৃত ভবঘুরের মেয়ে আলপনা চক্রবর্তী জানান “দীর্ঘদিন ধরেই আমার বাবার পরিবারের যোগাযোগ ছিল না। এই দিন হাসপাতাল চত্বরে বাবার মৃতদেহ পড়ে আছে খবর পেয়ে আমরা তড়িঘড়ি ছুটে আসি।”
মৃত ভবঘুরে ব্যক্তির বোন রুপা চক্রবর্তী বলেন “বিগত ১৫ বছর ধরে বাড়ির সাথে যোগাযোগ রাখতেন না ওই ব্যক্তি। মানসিক ভারসাম্যহীন এবং নেশাগ্রস্থ অবস্থায় বহু বছর ধরে বাড়ি ও পরিবার ছেড়ে থাকতেন। দাদার মৃত্যুর খবর পেয়ে আমরা ছুটে এসেছি।”
রশিদপুর হাসপাতাল চত্বরে ভবঘুরের মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য।

Leave a Reply