লক্ষ্যাতড়া মহা শ্মশানে তন্ত্র মতে এবং শাস্ত্র মতে পূজিত হলেন ডাকাত কালী এবং শ্মশান কালী!

আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ কৌশিকী অমাবস্যার রাতে বাঁকুড়ার এই বিশেষ মহাশ্মশানে চিত্রটা একেবারে অন্যরকম। একই শ্মশান প্রাঙ্গণ অমাবস্যার রাতে দুই ধরনের পূজা। তন্ত্র মতে এবং শাস্ত্রমতে পূজিত হলেন মা কালী। এই বিশেষ অমাবস্যাতেই শোনা যায় সাধক বামাক্ষ্যাপা সাক্ষাৎ দর্শন পেয়েছিলেন মায়ের। মহাশ্মশানে তন্ত্রমতে পূজিত হয়ে আসছেন শ্মশান কালী। এবং তার পাশেই রয়েছেন সাধক বামাক্ষ্যাপা বা বামদেব। কালীপুজো এবং মাসিক অমাবস্যা ছাড়া লক্ষ্যাতড়া মহা শ্মশান একপ্রকার ফাঁকাই থাকে। জীবনের পরে যদি কিছু থাকে তাহলে সেই অভিযান শুরু এই মহাশ্মশান থেকেই। কিন্তু কৌশিকী অমাবস্যার রাতে ঢল নেমেছে ভক্তদের।

ব্রিটিশ আমলে বেনারস থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল মা ভবতারিণীর মূর্তি। সেই মূর্তি পূজিত হত নামজাদা ডাকাতদের কাছে। তারপর ১৯৬৮ খ্রিস্টাব্দে দ্বারকেশ্বর নদের ওপার থেকে মাই মূর্তি নিয়ে আসা হয় লক্ষ্যাতড়া মহা শ্মশানে।মা ভবতারিনীর কাছেই ভক্তেরা একদম শাস্ত্রমতে পুজো দিতে পারবেন। অপরদিকে শ্মশান কালী মন্দিরে পুজো হবে তন্ত্রমতে। তাছাড়াও এই মহাশ্মশানে রয়েছেন একাধিক দেবদেবী। মা ভবতারিণীর ডান পাশে রয়েছেন শিব এবং বাম পাশে রয়েছেন বজরংবলী। শ্মশানের মাঝখানে অধিষ্ঠান করছেন মা তারা। তাছাড়া রয়েছেন শ্মশান কালী এবং সাধক বামাক্ষ্যাপা।


দুর্গাপূজোর আগে যে অমাবস্যা আছে সেই অমাবস্যই হল কৌশিকী অমাবস্যা। মা দুর্গার বন্দনায় কয়েকদিনের মধ্যেই মেতে উঠবে বাঙালি। দূর্গা পূজার বেশ কয়েকদিন পরে শুরু হবে কালীপূজা। বাঁকুড়ার এই লক্ষ্যাতড়া শ্মশান কালীপূজা এক অন্যরূপ ধারণ করে। সেই প্রস্তুতি ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে। তার আগেই ভক্তেরা এই বিশেষ অমাবস্যার রাতে নিষ্ঠা করে করলেন কৌশিকী অমাবস্যা পালন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *