ক্ষুদ্র আলপিনের মাথায় দুর্গার মুখ তৈরি করলো গৃহবধূ।

আবদুল হাই,বাঁকুড়া: দুর্গাপূজা দোরগোড়ায়। বাঙালির এক বছরের অপেক্ষা প্রায় শেষের মুখে। পুজো আসার আগেই আনন্দে আমরা বাঙালিরা কত কিছুই না করি। সেইরকমই বাঁকুড়ার এক প্রতিভাবান গৃহবধূ একটি ক্ষুদ্র আলপিনের মাথায় মা দুর্গার মুখমণ্ডল তৈরি করেছেন। বাঁকুড়া জেলার বাঁকুড়া সদরের কেন্দুয়াডিহির ভকতপাড়ার বাসিন্দা অর্পিতা সরকার একজন গৃহবধূ। সংসারের হাজার কাজের চাপের মধ্যেও তাঁর “প্যাশন” অবসর সমযয়ে শিল্পচর্চা করা। বাজারে যে শিল্প দ্রব্যগুলি পাওয়া যায় সেগুলির মূল্য বেশ আকাশ ছোঁয়া। তাই নিজের স্বল্প সময়ে স্বল্প সংশাধন নিয়েই অব্যবহৃত ফেলে দেওয়া বিভিন্ন বস্তু নিয়ে শিল্পচর্চা করে থাকেন অর্পিতা সরকার। একটি সরু আলপিনের মাথার দৈর্ঘ্য ১ সেন্টিমিটারের ১০ ভাগের এক ভাগ। ওইটুকু জায়গার মধ্যে খালি চোখে কি অপূর্ব সুন্দর মা দুর্গার মুখমণ্ডল এঁকেছেন অর্পিতা। সামান্য একটু রং এবং “টি ব্যাগের” সাদা ফিল্টার কাগজ দিয়েই তৈরি এই অনন্য সৃষ্টি।

দুই সন্তানের মা অর্পিতার ছোট থেকে ইচ্ছে ছিল শিল্পচর্চা করার। বাণিজ্যিকভাবে নয় শুধুমাত্র ভালো লাগা থেকেই নিজের অবসর সময়ে শিল্পচর্চা করেন তিনি। প্রায় তিন মাস আগে রমা কলাইয়ের উপর জগন্নাথ, বলরাম এবং সুভদ্রা অংকন করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন বাঁকুড়া জেলায়। পুজো আসার আগেই সেই জন্য এই ক্ষুদ্র প্রয়াস। সময় লেগেছে মাত্র ১৫ মিনিট। এই পনেরোটা মিনিটেই খালি চোখে একটি ফেলে দেওয়া আলপিন এর আগায় স্থান পেয়েছে মা দুর্গার মুখ। ভাবতে অবাক লাগলেও, সত্যি। যতক্ষণ না নিজের চোখে দেখবেন বিশ্বাস করতে পারবেন না এই শিল্প।

বাঁকুড়া জেলায় শিল্পচর্চা মানুষের রন্ধ্রে রন্ধ্রে। বাঁকুড়ার পাঁচমুড়ার টেরাকোটা থেকে বিকনার ডোকরা শিল্প। বাঁকুড়ার সাধারণ মানুষের মধ্যে বাসা বেঁধেছে শিল্পী সত্তা। এদের মধ্যে অন্যতম হলেন বাঁকুড়ার অর্পিতা সরকার। এরপর তিনি কি তৈরি করেন সেটা দেখতে মুখিয়ে রয়েছে তার পরিবার-পরিজন এবং পরিচিতরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *