নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণ তার মধ্যে বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসব দুর্গাপূজো , নেই আর বেশি দিন হাতে । ইতিমধ্যেই বনেদী বাড়ীর পুজোর প্রস্তুতি শুরু হয়ে গিয়েছে। দেবীর মূর্তির গায়ে পড়েছে মাটির প্রলেপ। এ বাড়ির ইটের পাজরে জড়িয়ে আছে অনেক ইতিহাস। নদীয়ার শান্তিপুরের রায় বাড়ির দুর্গাপুজো আর পাঁচটা দুর্গা পুজোর থেকে অনেকটাই আলাদা। দেবীর নাম কুলোমাতা। কথিত আছে মা এখানে জলখাবারের আছিলায় লাল পাড় শাড়ি পড়ে এই রায় বাড়িতে আসেন। মিষ্টিমুখ করে ছেলেকে ডাকার নাম করে অদৃশ্য হয়ে যান। রাতে স্বপ্নাদেশ আসে প্রতিষ্ঠা করে পূজা করার। কিন্তু পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভালো না থাকার কারণে কুলোতে পুজো করা হয় মায়ের । পরবর্তী সময়ে মায়ের মূর্তি তৈরি করে পুজো করা হয়। তবে যেহেতু মা এই বাড়িতে একা এসেছিলেন তাই এখানে শুধু মায়ের মূর্তি গড়া হয়। যদিও পুরোহিত দিয়ে কার্তি গনেশ লক্ষ্মী স্বরসতী সহ সকলের নামেই নিবেদন করা হয়। জানা যায় পাঁচশো বছর অতিক্রান্ত করেছে এই রায় বাড়ির পুজো।
লাল পাড় শাড়ি পড়ে দেবী দুর্গা এসেছিলেন জল খেতে, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে পুজো করা হয় কুলোয়, তাই এখানে দেবীর নাম কুলোমাতা।
