কিভাবে করাবেন পেটেন্ট? আর কোথায় করবেন আবেদন? অপেক্ষা করতে হবে কত বছর? এবং কত টাকা খরচ হবে? এই সব তথ্য দিলেন বাঁকুড়া ক্রিশ্চিয়ান কলেজের প্রফেসর ডঃ অনুপম ঘোষ।

আবদুল হাই,বাঁকুড়া:- আপনি গবেষণা করছেন ? নাকি নিজের চেষ্টায় কিছু উদ্ভাবন করেছেন ? জানেন আপনার কষ্ট করে বানানো জিনিসটির নকল তৈরি করে দিতে পারে যে কেউ। আপনার পরিশ্রমের স্বীকৃতি পেতে আপনাকে পেটেন্ট করাতে হবে। কিভাবে করাবেন পেটেন্ট? আর কোথায় করবেন আবেদন? অপেক্ষা করতে হবে কত বছর? এবং কত টাকা খরচ হবে? এই সব তথ্য দিলেন বাঁকুড়া ক্রিশ্চিয়ান কলেজের প্রফেসর ডঃ অনুপম ঘোষ। সাম্প্রতিক ডেঙ্গু মশা মারার একটি ন্যানো পার্টিকেল তৈরি করে তার পেটেন্ট পান তিনি। তিনি জানান যে ভারত সরকারের পেটেন্ট কার্যালয়ে জানাতে হবে। জানানোর দুটি পদ্ধতি রয়েছে। একটি উকিল মারফত (ব্যয় বহুল) এবং অপরটি হল ডিপার্টমেন্ট অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি মারফত আবেদন করা।

অর্থাৎ উদ্ভাবন করা বা আবিষ্কার করা বস্তুটির কার্য দক্ষতা থাকলে পেটেন্ট পাওয়া সহজ হয়ে যায়। তবে একটি পেটেন্ট পেতে প্রায় এক যুগ অপেক্ষা করতে হয়। প্রফেসর অনুপম ঘোষ ২০১৭ সালে পেটেন্ট ফাইল করেছিলেন কিন্তু সেই পেটেন্ট এল ২০২৩ সালে। প্রায় ৬ বছরের অপেক্ষার পর পেটেন্ট হাতে পেলেন তিনি। হতাশ হওয়ার কিছু নেই, অনুপম ঘোষ জানান, কার্যকরী দক্ষতা থাকলে পেটেন্ট যেদিন অ্যাপ্রুভ হবে সেদিন থেকেই কার্যকরী হবে এবং একটি পেটেন্ট প্রায় ২০ বছর সময়সীমার জন্যে দেওয়া হয়ে থাকে।

এবার আসা যাক খরচে। বিজ্ঞান বা প্রযুক্তিগত উদ্ভাবনগুলি নিবন্ধীকরণ করতে ডিপার্টমেন্ট অফ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজির যথেষ্ট ভূমিকা থাকে। তারা যদি মনে করেন তাহলে সম্পূর্ণ গবেষণার ব্যবহার কিছু ক্ষেত্রে বহন করে থাকে ডিপার্টমেন্ট। এবং এইসব ক্ষেত্রে দেখা গেছে উকিলের খরচ কিংবা গবেষণার খরচ, কোনটাই প্রয়োজন হয় না।

“ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটস” অর্থাৎ আপনার বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করে তৈরি করা যেকোনো মডেল কিংবা উদ্ভাবন আপনার নামে নিবন্ধীকরণ করার বিশেষ প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। যেভাবে প্রযুক্তির উন্নতি ঘটছে ঠিক একই দ্রুততার সঙ্গে প্রবণতা বাড়ছে নকল করার। তাই আপনার কঠিন পরিশ্রমকে যথাযথ মর্যাদা দিতে পেটেন্ট করাতেই হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *