ছোট্ট হোমিওপ্যাথিক ঔষধের শিশির মধ্যে নদীয়ার শিল্পী তুহিন এর রং তুলির অসাধারণ কারসাজি, অবয়ব ফুটে উঠলো রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর, শ্রদ্ধার্ঘ আদৌ কি পৌছাবে দুশ্চিন্তায় শিল্পী।

0
172

ছোট্ট হোমিওপ্যাথিক ঔষধের শিশির মধ্যে নদীয়ার শিল্পী তুহিন এর রং তুলির অসাধারণ কারসাজি, অবয়ব ফুটে উঠলো রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর, শ্রদ্ধার্ঘ আদৌ কি পৌছাবে দুশ্চিন্তায় শিল্পী।

নদীয়া, নিজস্ব সংবাদদাতা:- নদীয়া জেলার চাপড়া বড় অন্দুলিয়ার বাসিন্দা তুহিন মণ্ডল কে এখন নেট দুনিয়ায় সকলেই চেনে পেট দিয়ে ছবি আঁকার বিখ্যাত শিল্পী হিসেবে। এভাবে রবীন্দ্রনাথের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ্য বিস্মিত গোটা দুনিয়া। বিভিন্ন রেকর্ড সংরক্ষণের সংস্থা তাকে সংবর্ধিত করেছেন।
তবে যার পেট রং তুলির বশমানে সেখানে হাত যে আরও ভালো কিছু করবে এ আর আশ্চর্যের কি। তবে তুহিন বাবু সহজ কিছু পছন্দ করেন না যা সকলেই করতে পারে, তিনি মনে করেন কঠিনের মধ্যেই একাগ্রতা এবং আন্তরিকতা থাকে।
এবারে তিনি একটি হোমিওপ্যাথি ওষুধের শিশির মধ্যে দেশের সর্বময় কর্তা হিসেবে রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর ছবি এঁকে তাক লাগিয়ে দিলেন সকলকে। ছোট্ট ওইটুকু শিশির মধ্যে রং তুলি প্রবেশ করিয়ে ভেতরের দিকে ছবি আঁকা যথেষ্ট কষ্টকর এবং ধৈর্যেরও বটে। তুহিন বাবু বলেন বেশ কয়েকবার প্রায় চূড়ান্ত হয়ে গিয়েও নষ্ট হয়েছে ছবি, ক্ষণিকের জন্য মন ভেঙে গেলেও অদৃশ্যভাবে কেউ একজন পেছন থেকে তাকে শক্তি জুগিয়েছেন। হার না মানা কর্ম প্রচেষ্টাই আজ তাকে ব্যতিক্রমী শিল্পী হিসেবে পরিচিত লাভ করিয়েছে।
পরিবারের পক্ষ থেকে মা , স্ত্রী সব সময় তার প্রতিভা প্রকাশে সহযোগিতা করে থাকেন তারা জানাচ্ছেন, এ ধরনের কিছু করার সময় রাতের পর রাত জেগে কাটায় তুহিন। আর্থিক পরিস্থিতিও খুব বেশি ভালো নয় তাই আমাদের মতন ঘরে এ ধরনের শিল্পকর্ম বেমানান। তবে তারা আশাবাদী তুহিনের শিল্পকর্ম আগামী দিন নিশ্চয়ই কদর পাবে।
ছোট থেকে বাবার কাছে তার আঁকা শেখা। তবে সেভাবে কোন শিক্ষক শিক্ষিকার কাছে আঁকা শেখেনি , সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টায় আজ তুহিনের এই জায়গা। তবে সে চায় প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির কাছে পৌঁছাক তার এই শিল্পকর্ম।
আমরাও শুভকামনা জানাই তার ইচ্ছাপূরণে।