গরু পাচার সহ একাধিক বিষয় নিয়ে মেদিনীপুর থেকে তৃণমূলকে নিশানা দিলীপ ঘোষের।

পশ্চিম মেদিনীপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা:-  রবিবার পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার মেদিনীপুর শহরে বিজেপির দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে এসে একাধিক বিষয় নিয়ে এবার মুখ খুললেন মেদিনীপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ তথা দাপুটে বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ,এইদিন তিনি রানাঘাট সীমান্ত দিয়ে ফের গরু পাচারের বিষয় নিয়ে তিনি বলেন,পুরো বসিরহাট থেকে আরম্ভ করে বনগাঁ থেকে আরম্ভ করে যতটা বর্ডার আছে, সব জায়গায় হাজার হাজার গরু পার হয়। একটু কমে ছিল। আবার বেড়েছে। এরা কেন্দ্রীয় সরকারকে দেখিয়ে দিয়েছে, পুলিশের সাথে সাজগোজ করে এখানকার টিএমসি নেতারা সব গরু পাচার করছে। এখান থেকে ঝাড়খন্ড থেকে উড়িষ্যা থেকে এদিক থেকে গরু আছে আসছে। আগে তো পুলিশ আটকাবে। কেনো আটকাচ্ছে না? ফসল নস্ট হচ্ছে, ক্রাইম বাড়ছে এবং রাজনৈতিক দুর্নীতি দুর্নীতি বা সন্ত্রাস হচ্ছে তার পেছনে গরু পাচারের টাকা আছে।অন্যদিকে সংসদে ধোয়া কান্ডে ধৃত মূল চক্রী ললিত ঝাকে পুলিশী হেফাজত এবং ললিত ঝাকে নিয়ে কলকাতার উদ্দেশ্যে রওনা দেবে দিল্লি পুলিশ,সেই বিষয় নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন,আমরা বলেছি যে কলকাতা কেন, পশ্চিমবঙ্গ কেন জুড়ে যায় এই সমস্ত দেশ বিরোধী কাজের সাথে। কেন টিএমসি নেতাদের নাম আছে। তার মানে এরা পেছনে রয়েছে। তদন্ত হোক খোলাখুলি প্রত্যেকটা নেতাকে জিজ্ঞাসা করা উচিত। যাদের সাথে ছবি আছে যাদের নাম বলবে, তাদের জিজ্ঞাসা করা উচিত। ওরা তাহলে আগামী দিন আর এরকম ঘটনা ঘটাবে না।পাশাপাশি সুজয় কৃষ্ণ ভদ্রের হৃদযন্ত্রের মাংসপেশীর সক্ষমতা যাচাইয়ের জন্য দরকার ট্রেস মায়োকার্ডিয়াল পারফিউশন স্কেন। এসএসকেএমএ প্রায় দেড় কোটি টাকার যন্ত্র নিস্ক্রিয় অবস্থায় পড়ে রয়েছে। দশ বছরে একাধিক আবেদনেও মেলেনি সাড়া। জেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে এসএসকেএমকে,সেই বিষয় নিয়ে তিনি বলেন,
হসপিটালে বলুন, বড় হসপিটালে এমন বহু মেশিন পড়ে রয়েছে, হয় অপারেটার নাই, আর না হলে সেটা ইউজ করতে দেওয়া হয় না। যাতে প্রাইভেট ল্যাবগুলো ব্যবসা কম না হয়ে যায়। একটা এক্সরে মেশিনও খারাপ করে দেওয়া হয়। মানুষ যাতে পরিষেবা না পায়। আর এটা হসপিটালের ভেতরে বা বাইরে যুক্ত সবাই। নেতাদের ল্যাব আছে, তারা সেখান থেকে পয়সা কামাচ্ছে।অন্যদিকে মমতার আগেই দিল্লী যাচ্ছেন শশী পাজা। ফ্রেন্ডের কাছে রাজ্যের প্রকল্পের বকেয়া টাকা আদায় এবং নতুন প্রকল্প নিয়ে কথা বলতে।সেই বিষয় নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন যান যান ঘুরে আসুন, ঠান্ডা পড়েছে, চা খেয়ে আসুন। দিল্লি ঘুরে আসুন।আমি বলছি আগে কেনো যান নি? হিসাব নিয়ে যান, হিসাব বুঝে আসুন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *