শেয়াল ও পেঁচা ডাকতেই বাড়ির উঠান থেকে ঘরের ভিতরে ঢুকলো লক্ষী।

আবদুল হাই, বাঁকুড়াঃ-  হিন্দু বাঙালি জীবনে লক্ষী পূজা অঙ্গাঙ্গী ভাবে জড়িত। প্রতি বৃহস্পতিবার প্রতি বাঙালি হিন্দু ঘরে ভক্তি সহকারে লক্ষ্মী পূজা করা হয়। আলপনা, ধুপ- ধুনা , ফলমূল, চিঁড়ে গুড় , মিষ্ঠান্ন সহযোগে নানা উপাচারে বাঙালি হিন্দুরা পরম ভক্তি ভরে মা লক্ষ্মীর পূজা করেন। লক্ষ্মী দেবী ধন-ঐশ্বর্য আর ভাগ্যের দেবী। তাই লক্ষ্মী দেবীকে যে তুষ্ট করতেই হবে। তাই সকলেই লক্ষ্মীর কৃপা পেতে চায়।তাছাড়া সারা বছর চারবার বাড়িতে বাড়িতে ধুমধামে দেবী লক্ষীর পূজা করা হয়… পৌষ মাসে, চৈত্র মাসে, আশ্বিন মাসে আর ভাদ্র মাসে। তবে আজকের দিনে অর্থাৎ পয়লা মাঘ যে লক্ষ্মী পূজা হয় তাকে বার লক্ষী পূজা বলা হয়। কারণ এই পূজা ঘরের বাইরে উঠানে করা হয়। বার লক্ষী পূজা বাড়ির উঠানে ভালো করে গোবর, জল দিয়ে পরিস্কার করে খুব সুন্দর করে আলপনা আঁকা হয়।লক্ষী ঝাঁপি মাঠ এক গোছা ধান রেখে ভক্তি সহকারে পুজা করা হয়।ধন- সম্পদ সারা বছর সচ্ছল থাকার কামনায় এ পূজা করা হয় বাড়িতে বাড়িতে। বার এই পূজার বিশেষ নিয়ম হলো সন্ধ্যাবেলায় শেয়াল বা পেঁচা ডাকলে তবেই বাড়ির উঠান থেকে দেবী লক্ষীকে ঘরের ভিতরে আবার স্বস্থানে রাখা হয়।আর সেই চিত্র দেখা গেল বাঁকুড়া জেলার ইন্দাস ব্লকের শিমুলিয়া গ্ৰামে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *