নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদা :—– হোটেলের ঘরে নিয়ে গিয়ে ১৪ বছরের এক নাবালিকাকে শ্লীলতাহানি করার দায়ে পুরাতন মালদার চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল ঝাড়খণ্ড পুলিশ৷ তবে এখনও অধরা এই কাণ্ডের আরেক অভিযুক্ত৷ তার খোঁজে পুলিশি তল্লাশি জারি রয়েছে৷ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে পুরাতন মালদা শহরে৷
ঘটনাটি ঘটেছিল ২০২৪ সালের ১৬ সেপ্টেম্বর৷ পুলিশে দায়ের করা লিখিত অভিযোগপত্রে নির্যাতিতা কিশোরীর বাবা তথা পুরাতন মালদার এক খ্যাতনামা চিকিৎসক জানিয়েছেন, মেয়েকে পরীক্ষা দেওয়াতে তিনি সেদিন ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে গিয়েছিলেন৷ সেখানে মেয়েকে নিয়ে তিনি হোটেলেই ছিলেন৷ ১৬ সেপ্টেম্বর রাত ১০টা নাগাদ তিনি খাবার খেতে হোটেলের বাইরে বেরোন৷ হোটেলের ১০৪ নম্বর ঘরে তাঁর মেয়ে একাই ছিল৷ ওই হোটেলেরই ২০২ নম্বর ঘরে উঠেছিল পুরাতন মালদার বেশ কয়েকজন যুবক৷ তারা সেদিন তাঁর অবর্তমানে হোটেলের ১০৪ নম্বর ঘরে আসে৷ তাঁর মেয়ের সঙ্গে কথাবার্তা বলে৷ মেয়ের সরলতার সুযোগ নিয়ে তারা তাঁর মেয়েকে নিজেদের ঘরে নিয়ে গিয়ে শ্লীলতাহানি করে৷ সেকথা মেয়ে যেন কাউকে না বলে তার জন্য তারা হুমকি দেয়৷ মেয়ে কোনওরকমে সেখান থেকে পালিয়ে নিজের ঘরে এসে কান্নায় ভেঙে পড়ে৷ খানিক বাদে তিনি ঘরে ফিরে এসে মেয়েকে কাঁদতে দেখে তার কারণ জিজ্ঞেস করেন৷ কিন্তু মেয়ে কোনও উত্তর দেয়নি৷ বাড়ি ফেরার পর ৫ অক্টোবর সে তাঁকে সমস্ত ঘটনা খুলে বলে৷ এরপর ১১ তারিখ তিনি পাঁচজনের বিরুদ্ধে মালদা থানায় তাঁর মেয়েকে শ্লীলতাহানি করার লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন৷
মালদা থানার পুলিশের তরফে নাবালিকার বাবার অভিযোগপত্র পাঠিয়ে দেওয়া হয় রাঁচির নাগরি থানায়৷ অভিযোগের ভিত্তিতে পকসো মামলায় ঘটনার তদন্ত শুরু করে নাগরি থানার পুলিশ৷ অবশেষে রবিবার রাতে অভিযুক্ত পাঁচজনের মধ্যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়৷ সোমবার তাদের ট্রানজিট রিমান্ডে রাঁচি নিয়ে গিয়েছে নাগরি থানার পুলিশ৷
এই ঘটনায় যে চারজনকে গ্রেফতার করা হয়ে তাদের মধ্যে একজন আবার একটি বেসরকারি আইন কলেজ চালান৷ তাঁর দাবি, মালদা থানার পুলিশ তাঁকে এই মামলায় ফাঁসিয়ে দিয়েছে৷ এই চক্রান্তের পিছনে রয়েছেন পুরাতন মালদা পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর৷ এর আগেও ওই কাউন্সিলর তাঁর বিরুদ্ধে পকসো মামলা রুজুতে চক্রান্ত করেছিলেন৷ তিনি নির্দোষ৷
হোটেলের ঘরে নিয়ে গিয়ে ১৪ বছরের এক নাবালিকাকে শ্লীলতাহানি করার দায়ে পুরাতন মালদার চার অভিযুক্তকে গ্রেফতার করল ঝাড়খণ্ড পুলিশ৷

Leave a Reply