খানাকুল, নিজস্ব সংবাদদাতা:- সোমবার ঘোষিত ১২ ঘণ্টার বন্ধে খানাকুলের জনজীবনে বিশেষ প্রভাব পড়েনি। সকাল থেকেই মানুষজন নিজের মতো কাজকর্ম করেছেন, খোলা ছিল অধিকাংশ দোকানপাট, ব্যস্ত ছিল বাজার। বন্ধের ডাক থাকলেও সাধারণ মানুষ প্রায় স্বাভাবিক ছন্দেই দিন কাটিয়েছেন।
খানাকুলের বিভিন্ন বাজারে সকাল থেকেই ছিল ভিড়। মাছ, মাংস, সবজি থেকে শুরু করে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস কেনাবেচা হয়েছে প্রতিদিনের মতো। এমনকি রাজহাটি বাজার, যা সাধারণত সোমবার বন্ধ থাকে, সেখানেও দোকানপাট খোলা ছিল।
একজন ব্যবসায়ীর বলছেন
বন্ধ ডাক হঠাৎ এলে আমাদের সংসার তো থেমে থাকতে পারে না। তাই আমরা দোকান খুলেছি।”
একজন গৃহিণী জানান—
আজকের বাজার একেবারে অন্য দিনের মতোই হয়েছে। আমরা যা যা প্রয়োজন সবই কিনতে পেরেছি।”
দুপুরে গড়েরঘাট রোডে গাছ কেটে সাময়িকভাবে রাস্তা অবরোধের চেষ্টা হয়। কিছুক্ষণের জন্য যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটলেও পুলিশ দ্রুত উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি সামাল দেয়। অবরোধ সরিয়ে দিয়ে রাস্তায় ফের চলাচল স্বাভাবিক করা হয়।
পুলিশ আধিকারিক বলেন—
“রাস্তায় গাছ ফেলে অবরোধের চেষ্টা হয়েছিল, কিন্তু আমরা সঙ্গে সঙ্গেই ব্যবস্থা নিয়েছি। কোনও বড় সমস্যা তৈরি হতে দিইনি।” প্রশাসন সতর্কবার্তা দিয়েছেন,
বন্ধের ডাক ঘিরে সম্ভাব্য অশান্তি এড়াতে জেলা প্রশাসন এবং পুলিশ আগে থেকেই সতর্ক ছিল। দিনভর অতিরিক্ত বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছিল।
প্রশাসনের এক শীর্ষকর্তার মন্তব্য—
“খানাকুলে বন্ধের ডাক থাকলেও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সাধারণ মানুষ তাদের দৈনন্দিন কাজে স্বাভাবিকভাবেই অংশ নিয়েছেন।”
একজন কলেজ পড়ুয়া জানান—
“আজ ক্লাস ছিল, আমরা গিয়েছি। রাস্তাঘাটে দেখে বোঝাই যায়নি বন্ধ চলছে।”
সারাদিনের ঘটনাপ্রবাহে স্পষ্ট, বন্ধের ডাক থাকলেও খানাকুলে মানুষ স্বাভাবিক জীবনযাপনকেই বেছে নিয়েছেন। প্রশাসনের দ্রুত পদক্ষেপ ও সক্রিয় তৎপরতায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতিও নিয়ন্ত্রণে ছিল।।
Leave a Reply