গঙ্গারামপুর, নিজস্ব সংবাদদাতা :- হাঁসের বাচ্চা বিলিকে কেন্দ্র করে তুলকালাম কান্ড গঙ্গারামপুর ব্লক প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তরে। ঘটনায় হাঁসের বাচ্চা লুট করে চম্পট দিল উত্তপ্ত জনতা। সেইসঙ্গে পঞ্চায়েত সমিতির বরাদ্ধকৃত হাঁসের বাচ্চা বিলি করার অভিযোগ উঠেছে প্রাণিসম্পদ দপ্তরের আধিকারিক ডঃ শর্মিলা রায়ের বিরুদ্ধে। ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে প্রাণিসম্পদ দপ্তরে তালা মেরে বিক্ষোভ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে চরম অব্যবস্থার চিত্র দেখা মিলল গঙ্গারামপুর ব্লক প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরে। যদিও হাঁসের বাচ্চা লুট করার ঘটনায় দায় এড়িয়েছেন দপ্তরের আধিকারিক শর্মিলা রায়। সেই সঙ্গে তিনি নিজের বিরুদ্ধে উঠা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেন।
প্রসঙ্গত, গ্রামীন এলাকার সাধারণ মানুষ জনকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলতে রাজ্য সরকারের উদ্যোগে বিভিন্ন সময় হাঁসের বাচ্চা, ছাগলের বাচ্চা, মুরগির বাচ্চা বিলি করা হয়ে থাকে। সেই মতো গঙ্গারামপুর ব্লকের 11 টি অঞ্চলের মানুষ জনকে হাঁসের বাচ্চা বিলি করার উদ্যোগ গ্রহণ করে প্রাণী সম্পদ বিকাশ দপ্তর। এদিন ৫৪০ জন উপভোক্তাকে হাঁসের বাচ্চা প্রদান করার উদ্যোগ নেওয়া হয় গঙ্গারামপুর ব্লক প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের তরফ থেকে। সেই মতো এদিন সকাল থেকে ব্লক অফিস চত্বরে শুরু হয় হাঁসের বাচ্চা বিলির কাজ। এদিকে হাঁসের বাচ্চা বিলিকে কেন্দ্র করে গঙ্গারামপুর পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের সাথে বচসায় জড়িয়ে পড়েন প্রাণিসম্পদ দপ্তরের আধিকারিক। পঞ্চায়েত সমিতির প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের কর্মদক্ষ এনামুল রহমান চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, পঞ্চায়েত সমিতির ৩২ জন সদস্যের জন্য বরাদ্ধকৃত ৩২০০ হাঁসের বাচ্চার মধ্যে ১০০০ হাঁসের বাচ্চা রেখে বাকি হাঁসের বাচ্চা বিলি করে দিয়েছেন প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের আধিকারিক। এ নিয়ে কথা বলতে গেলে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের সাথে বচসায় জড়িয়ে পড়েন প্রাণিসম্পদ বিকাশ দপ্তরের আধিকারিক শর্মিলা রায়।
এরই মাঝে,পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে, উপভোক্তারা হাঁসের বাচ্চা বোঝাই গাড়ি লুট করে নিয়ে যায়। পর্যাপ্ত নিরাপত্তার অভাবের কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ। ঘটনার প্রতিবাদে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যরা প্রাণী সম্পদ দপ্তরের আধিকারিক কে দায়ী করেন এবং দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখান।
এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
Leave a Reply