বনদপ্তরে কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ।

নিজস্ব সংবাদদাতা, চন্দ্রকোনা রোড:- পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা রোডে বনদপ্তরে রেঞ্জরের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতির অভিযোগ উঠল। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে চন্দ্রকোনা রোডের কুমারী জঙ্গলে প্রায় প্রতিটি বছর বনদপ্তরের যে ফিলিং হয় অর্থাৎ কিছু গাছ কেটে বিক্রি করা হয় আবার কিছু গাছ লাগানো হয় আর সেখানে গাছগুলো বিক্রি করার পর সরকারিভাবে টাকা দেওয়া হয় শ্রমিকদের সেই টাকা আটকে দেন স্থানীয় রেঞ্জার। অভিযোগ তিনি দু লক্ষ টাকা কাটমানি দাবি করেন বাকি পুরো টাকাটি ছেড়ে দেওয়ার জন্য। স্থানীয় এফপিসি কমিটি তা দিতে অস্বীকার করেন। তারা বলেন এই টাকা সাধারণ মানুষের টাকা। সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দিতে হবে। স্থানীয় এফপিসি কমিটির তৃণমূল কংগ্রেস দ্বারা পরিচালিত। তাই তাদের যুক্তি এই টাকা তুলে দিলে তার প্রভাব ভোটে পরবে এবং স্থানীয় স্তরে তৃণমূল কংগ্রেসের জনপ্রিয়তা বাড়বে। শুরু হয় আধিকারিকের সাথে তৃণমূল কংগ্রেসের সংঘাত। এরপর টাকা পেতে রেঞ্জারের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করার জন্য কাগজপত্র সংগ্রহ করতে শুরু করেন স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের নেতৃবৃন্দ। আর সেই কাগজপত্রে দেখা যায় বিস্তর গরমিল। কোটি কোটি টাকার দুর্নীতির তথ্য হাতে পান তৃণমূল কংগ্রেসের নেতারা। কখনো ২০০ কেজি গাড়ি কাঠ বিক্রি হলে কাগজে তা মুছে লেখা হয়েছে ১০০ কেজি বাকি টাকা গায়েব করেছেন স্থানীয় রেঞ্জার বলে অভিযোগ। খালি ট্রানজিট পারমিট দিয়েও কোটি কোটি টাকার দুর্নীতি করা হয়েছে বলে জানা গেছে। যত পুরানো নথি জোগাড় করতে পেরেছেন তাতে দুর্নীতির পরিমাণ বেড়েই চলেছে। আর এই ব্যাপক দুর্নীতির সরাসরি অভিযোগ বন দপ্তরের আধিকারিক সুব্রত ঘোষের বিরুদ্ধে। তিনি পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার হিজলী ডিভিশনের অন্তর্গত ওড়গঞ্জ বনক্ষেত্রের আধিকারিক। পরবর্তী ক্ষেত্রে দফায় দফায় আলোচনা করেও যখন সমাধান সূত্র বের হয়নি তখন সমস্ত নথি নিয়ে স্থানীয় জেলাশাসক থেকে মুখ্যমন্ত্রী সমস্ত স্তরে জানানো হয় বিষয়টা কিন্তু বের হয়নি কোন সমাধান সূত্র। অভিযোগ থেকে গেছে অভিযোগ হয়েই।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *