বঙ্গবন্ধু : সুরভি জাহাঙ্গীর।

0
9959

কামানের বিকট শব্দ.. অন্ধকারের বুক ঝাঁঝরা!
ভোরের সূর্যের মুখে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ!
পৃথিবীর মুখে আঙ্গুল!থমকে যায় প্রকৃতি!
জলের বুকে ঢেউ থেমে যায়!
হালদা নদীর মা’ মাছের প্রসব থেমে যায়!
জারি-সারি ভাটিয়ালী সুর রক্ত রাগে গেয়ে যায়!
উড়ন্ত পাখির বুকে বিশ্বাস ঘাতকের তীর বেঁধে!
পাখির বুকের রক্ত বৃষ্টিতে ধানমন্ডি ২৭ নম্বর বাড়ি প্লাবিত হয়!
২৭ নম্বর বাড়ির সিঁড়ি বেয়ে বঙ্গবন্ধুর স্ব- পরিবারের তাজা রক্তের স্রোত পদ্মা, মেঘনা,যমুনা হয়ে.. টেকনাফ হয়ে তেঁতুলিয়া পথ বেয়ে রক্তের ছবি এঁকে.. মেসোপটেমিয়ার হরপ্পার প্রাচীন প্রাচীরে মানব জাতির জন্মের ইতিহাস রক্তে ডুবে যায়!
সিঁড়ির উপর উজ্জল নক্ষত্র তখনো নেতৃত্বের তর্জনী উঁচিয়ে পরেছিল! আভিজাত্যের চুরুট টা পাশেই গড়িয়ে পড়ে!
রক্তে ভেজা ঝাঁঝরা বুকটা বাম হাতে ধরে ছিল.. যেন স্বাধীনতার সূর্যটা কোন ক্রমেই অস্তমিত না হয়!
বঙ্গবন্ধু রক্তে সেদিন পৃথিবীর মানচিত্র ভিজে যায়! ইতিহাস কলংকিত হয়!
প্রসব যন্ত্রনাতে ছট ফট করে হালদার বুকে মা’ মাছ মরে ভেসে ওঠে!
২৭ নম্বর বাড়িতে শিশু রাসেলের আহাজারি আংকেল আমি মা’য়ের কাছে যাব! শব্দটি ধ্বনি থেকে প্রতিধ্বনি হয়.. পৃথিবীর দীর্ঘ প্রাচীরেরর বুক বিদীর্ণ হয়!
যুগের পতন হয়! জলোছ্বাসে ধ্বংস হয় সভ্যতা!
অনঢ় পৃথিবী সৃষ্টির নিয়মে অভ্যুত্থানের আহ্বানে ঘুম ভাঙ্গে ইতিহাসের!
অবশেষে সভ্যতার ক্ষয়ে যাওয়া পাথর থেকে সত্য ইতিহাস বেড়িয়ে আসে নেতৃত্বের তর্জনীটা উঁচিয়ে! বিশ্বের সর্বকালের সর্ব শ্রেষ্ঠ সন্তান “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান”!
ইতিহাস পাপ মুক্ত হয়! সভ্যতা কলঙ্ক মু্ক্ত হয়!
বাংলার মাটিতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের স্বাধীনতার নতুন সূর্যোদয় হয়।
( বাংলাদেশ/ঢাকা)