ভুবনঠাকুর : শুভঙ্কর দাস।

প্রতিটি শস্য ঘুমিয়ে আছে নিজস্ব দিনের অপেক্ষায়, মাচায় তোলা আছে স্বাদ,সুধা আর স্রোত।

এইবার রক্তে কেউ কোনো ছবি আঁকবে না!
এইবার লাশে কেউ কোনো পথ বানাবে না!

নবান্নের নতুন বউ দুই বিঘা জমির আলে ঘুরে ঘুরে দেখে নেয় প্রেমিকপুরুষের প্রস্তাব ও পালনশক্তি।
ছিদাম আর তারাপদ একসঙ্গে বাঁশি শুনে অপেক্ষা করে ঘরে ফিরে আসার,অমল দইওয়ালার কাছে শিখে নেয় দই বসানোর কারুকাজ,শান্তির মিছিল নয়,আশ্রয় সন্ধানে নিজেদের পথ করে হাঁটে শচীশ আর গোরা

সংগীতহারা সব পাতা আঁচল হয়ে উঠুক,নদী এসে মিশে যাক প্রতিটি গল্পের শরীরে

নীল আকাশ মানুষকে ঈশ্বর করেনি,দিগন্ত থেকে আসেনি মহাভারতীয় সঞ্জয়চোখ,পূজা ফেলে,স্তব ফেলে,মন্ত্র বা আয়াত ফেলে
শুধু মাঠের মতো প্রতিটি পাতা খুলে দেখলে মনে হয়,ক্ষেতে ক্ষেতে শস্যকণা নয়,প্রণাম ফলে আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *